বীরভূমে সরকারি পদ ছাড়লেন অনুব্রত অনুগামী প্রভাবশালী নেতা! জল্পনা তুঙ্গে
ফের তৃণমূলে (trinamool congress) পদ ছাড়ার ধাক্কা। এবার তালিকায় অনুব্রত মণ্ডল (anubrata mondal) ঘনিষ্ঠ নেতা। তবে পদ ছাড়ার কারণ হিসেবে ওই নেতা ব্যক্তিগত কারণ উল্লেখ করেছেন। যা নিয়ে তোলপাড় বীরভূমের রাজনৈতিক মহল। যদিও এব্যাপারে এখনও তৃণমূলের কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে পোস্টারে সাংসদের ছবি! জল্পনা তৃণমূল নেতার বয়ান নিয়েও

পদ ছাড়লেন সিউড়ি পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর প্রধান
সিউড়ি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান, তথা বর্তমানে প্রশাসকমণ্ডলীর প্রধান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় পদত্যাগ করেছেন। যা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে বীরভূমের রাজনৈতিক মহলে। জানা গিয়েছে, ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন তিনি। এর পিছনে দলগত কোনও কারণ না খুঁজতে অনুরোধ করেছেন পদত্যাগী নেতা। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব নিয়েছেন অঞ্জন কর।

প্রশ্নের মুখে তৃণমূল
বিধানসভা ভোটের আগে অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত নেতা পদত্যাগ করায় নানা প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বকেও। প্রভাবশালী এই তৃণমূল নেতার পদত্যাগে, অনুব্রত গড়ে বিরোধীরা হাতে অস্ত্র পেয়ে গেল।

বিজেপির কটাক্ষ
জেলা বিজেপির তরফে এই পদত্যাগকে কটাক্ষ করা হয়েছে। তারা বলছে, রাজ্য জুড়েই এই প্রবণতা শুরু হয়েছে। দেখা যাচ্ছে তৃণমূলের নেতারা দলে রয়েছেন, কিন্তু তাঁরা সরকারি পদ ছেড়ে দিচ্ছেন। সৎ মানুষের তৃণমূলের সঙ্গে থাকতে না পেরে পদত্যাগ করছেন বলে দাবি করা হয়েছে বিজেপির তরফে।

একই দিনে একাধিক ধাক্কা
এদিকে একই দিনে একাধিক ধাক্কা লেগেছে তৃণমূলে। এদিনই দুর্গাপুরে শুভেন্দু অধিকারীর পোস্টার, ব্যানারের সঙ্গে চোখে পড়ছে বর্ধমান পূর্বের তৃণমূল সাংসদ সুনীল মণ্ডলের ছবি। সেখানে তৃণণূলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন সুনীল মণ্ডল। পোস্টারে, ব্যানারে লেখা সুনীলদা, আমরা শুভেন্দুদার সঙ্গে তোমাকেও চাই। দল এখনই নজর না দিয়ে পরিস্থিতি ভয়াভহ উঠতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ওই নেতা। অন্যদিকে ব্যারাকপুরের তৃণমূল বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত এদিন সল্টলেকে গিয়ে মুকুল রায়ের সঙ্গে দেখা করেন।
অক্টোবরে বেসুরো হওয়া কোচবিহার দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী ইতিমধ্যেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে দলের বিরুদ্ধে কার্যত বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন শিবপুরের বিধা.য়ক জটু লাহিড়ী, রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নেতারা। বনমন্ত্রী বলেছিলেন, স্তাবকতা করলেই বেশি নম্বর পাওয়া যায়, নাহলে নয়। এই তালিকায় রয়েছেন অতীন ঘোষ, সাধন পাণ্ডের মতো নেতা মন্ত্রীরাও। দলে অনেক বঞ্চনার শিকার হয়েছি, শুভেন্দু দল ছাড়লে তৃণমূলের ক্ষতি বলে মন্তব্য করছেন অতীন ঘোষ। বিজেপির তরফে কটাক্ষ করে বলা হচ্ছে একমাসের মধ্যেই ফল বুঝতে পারবেন তৃণমূল।
