শিক্ষিকা সুকন্যা মণ্ডল কীভাবে পেলেন পাঁচ কোটি টাকা! সেটাই ভাবাচ্ছে সিবিআইকে
অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের নামে বিশাল সম্পত্তির হদিস! আর এই বিপুল সম্পত্তির মালকিন কীভাবে? সেটাই জানতে চাইছেন সিবিআই আধিকারিকরা। আর সেই লক্ষ্যেই শুক্রবার অন্তত এক ঘন্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় অনুব্রত কন্যাকে। একাধিক ন
অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের নামে বিশাল সম্পত্তির হদিস! আর এই বিপুল সম্পত্তির মালকিন কীভাবে? সেটাই জানতে চাইছেন সিবিআই আধিকারিকরা। আর সেই লক্ষ্যেই শুক্রবার অন্তত এক ঘন্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় অনুব্রত কন্যাকে। একাধিক নথি দেখিয়ে বেশ কিছু স্পষ্ট প্রশ্ন তাঁকে করেছেন বলেই সূত্রে খবর।
আর তাতে দেওয়া সুকন্যার জবাবে মোটেই সন্তুষ্ট নয় সিবিআই আধিকারিকরা। ফলে ফের একবার অনুব্রত কন্যাকে জেরা করতে পারেন সিবিআই আধিকারিকরা।
কীভাবে পেলেন পাঁচ কোটি টাকা?
বীরভূমের বেতাজ বাদশা অনুব্রত মণ্ডলের বিশাল সাম্রাজ্যের হদিশ পেতে চাইছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। আর সেই সময়ে 'ভোলে বোম রাইসমিলে'র খোঁজ পান তদন্তকারীরা। আর সেখানে খোঁজখবর নিতে গিয়ে দেখা যায় রাইসমিল'টি কেনা হয়েছিল পাঁচ কোটি টাকা দিয়ে। শুধু তাই নয়, ডিরেক্টর হিসাবে সুকন্যা মণ্ডলের নাম পান তদন্তকারীরা। এমনকি সেখানে বিদ্যুৎবরণ গায়েনেরও নামও উঠে আসে তদন্তকারীদের হাতে। কীভাবে এবং কোথা থেকে কেনা হল এই চালকল এই বিষয়েই আরও তথ্য পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা। বিশেষ করে সুকন্যা একজন স্কুল শিক্ষিকা। তিনি কীভাবে এই পাঁচ কোটি টাকা পেলেন সেই বিষয়েও জেরা করা হয়েছে বলে খবর।
জেরায় কি জানিয়েছেন সুকন্যা
শুধু মিলই নয়, বিপুল সম্পত্তির হদিশ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। এমনকি একাধিক সংস্থার নামও তদন্তকারীদের হাতে এসেছে। সেই সমস্ত সংস্থার নামে কোটি টাকার সম্পত্তি কেনা হয়েছে বলেও খবর। এই সমস্ত বিষয়ে সুকন্যার কাছে তথ্য চায় সিবিআই। জানা গিয়েছে, একাধিক প্রশ্নের উত্তর না কিংবা হ্যাঁ দিয়ে ছেড়ে দিয়েছেন বলে খবর। সম্পত্তির হিসাবে সমস্ত তথ্যই নাকি অনুব্রতের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি জানেন বলেও তদন্তকারীদের সুকন্যা জানিয়েছেন বলে খবর। আর তাতে মোটেই সন্তুষ্ট নয় সিবিআই আধিকারিকরা। আর এরপরেই বেশ কিছু নথি চাওয়া হয়েছে বলেই খবর। এমনকি ফের একবার সুকন্যাকে সিবিআই জেরা করতে পারে বলেই খবর।
প্রভাব খাটিয়ে কেনা হয়েছে
ইতিমধ্যে সিএ মণীশকে একাধিকবার জেরা করেছে সিবিআই। এমনকি তাঁর বাড়ি এবং অফিসেও হানা দিয়েছেন তদন্তকারীরা। শুধু তাই নয়, রাইস মিল যাদের কাছ থেকে কেনা হয়েছিল সেই প্রাক্তন মালিককেও ইতিমধ্যে জেরা করেছে সিবিআই। জানা গিয়েছে, প্রভাব খাটিয়ে নাকি ওই রাইস মিল কিনেছিলেন অনুব্রত। শুধু তাই নয়, বাজার থেকে চলতি দামের অনেক কমে কেনা হয়েছিল বলেও খবর। শুধু তাই নয়, আরও বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা। আর সেই লক্ষ্যে গত কয়েকদিন আগে জেলে গিয়ে কেষ্টকে জেরা করেছে সিবিআই। তবে বিশাল এই সম্পত্তি কিনতে গরু পাচারের টাকা ব্যবহার করা হয়নি তো? সেটাই ভাবাচ্ছে সিবিআই আধিকারিকদের।