বগটুই কাণ্ডের তদন্তে বিভ্রান্ত করতে পারে ধৃতরা, মনোবিদরা সাহায্য করবেন সিবিআই জেরায়
বগটুই কাণ্ডে তদন্তে বিভ্রান্ত করতে পারে ধৃতরা, মনোবিদরা সাহায্য করবেন জেরায়
রামপুরহাট কাণ্ডের তদন্তে ধৃতদের জেরা করতে মনোবিদদের সাহায্যে নিতে চলেছে সিবিআই। তাঁদের অনুমান জেরার সময় তদন্ত বিভ্রান্ত কারার চেষ্টা করতে পারে ধৃতরা। তাই তাঁরা সত্যি বলছে না মিথ্যে বলছে এবং কোনও রকম ভাবে তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করতে চাইছে কিনা তা নিশ্চিত করতে মনোবিদদের সাহায্য নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সূত্রের খবর মৃত ৭ জনের ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে দিল্লিতে।
মনোবিদদের সাহায্য নিচ্ছে সিবিআই
বগটুই কাণ্ডে ধৃতদের জেরা করতে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি নিচ্ছে সিবিআই। ফরেন্সিক সাইকোলজিকাল অ্যাসেসমেন্ট পদ্ধতিতে তাঁদের জেরা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এবার থেকে ধৃতদের জেরার সময় একজন করে মনোবিদ উপস্থিত থাকবেন সিবিআই অফিসারদের সঙ্গে। যাঁদের বলা হচ্ছে সাইকো অ্যানালিটিকস। জেরার সময় ধৃতরা যেসব কথা বলবেন তাঁরা সত্যি বলছেন না মিথ্যে বলছেন সেটা তাঁদের বলার ভঙ্গি এবং চোখ মুখ দেখে আন্দাজ করবেন মনোবিদরা। তাতে অনেকটাই স্পষ্ট হবে যে ধৃতরা ঠিক বলছে না ভুল বলছে।
কারা সাহায্য করবেন সিবিআইকে
জানা গিয়েছে কলকাতার কোনও মনোবিদকে কাজে লাগাচ্ছে না সিবিআই। পূর্বভারতের কোনও সাইকো অ্যানালিস্টদের সাহায্য নেওয়া হয়েছে। ২ জনই মহিলা। দিল্লি থেকে তাঁদের নিয়ে আসা হয়েছে। কলকাতার কোনও সাইকোলজিস্টের উপরে আস্থা রাখতে পারছেন না তদন্তকারীরা। কেউ সত্য গোপন করছে কিনা। েজরার সময় তাঁদের মুখের ভাব কেমন থাকছে তা দেখে বোঝার চেষ্টা করবেন সাইকো অ্যানালিস্টরা এই তিন প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই সবটা স্পষ্ট হয়ে যাবে। সেকারণেই মনোবিদদের রাখা হচ্ছে ধৃতদের জেরার সময়।
পুলিশ সুপারকে চিঠি
সিবিআই তদন্তে আরেকটি বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। জানা গিয়েছে ঘটনার বেশ রয়েকদিন আগেই পুলিশ সুপারকে নিরাপত্তা চেয়ে চিঠি দিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ভাদু শেখ। বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্র নাথ ত্রিপাঠীকে জেরার করার চিন্তা ভাবনা করছে সিবিআই। ইতিমধ্যেই রামপুরহাট থানার আইসিকেও জেরা করেছে সিবিআই অফিসাররা। ঘটনায় পুলিশের গাফিলতি প্রকট হয়ে উঠেছে। মুখ্যমন্ত্রী নিজে সিবিআই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন।
আনারুল শেখের নির্দেশেই হামলা
আনারুল হোসেন নির্দেশেই ভাদু শেখের বাড়িেত হামলা চালানো হয়েছিল। এবং বগটুই গ্রামে বোমাবাজি ও আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটেছিল। এমনই জানতে পেরেছে পুলিশ। আনারুল হোসেনের দুই সহযোগী লালন এবং জাহাঙ্গিরকে হন্যে হয়ে খুঁজছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই লালনের বাড়িতে হানা দিেয় সিসিটিিভ ক্যােমরা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। লালনের বাড়ির সিসিটিভিতে ঘটনার দিনের প্রমাণ পাওয়া েযতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে তদন্তকারীরা এই নিেয় এখনও কোনও তথ্য প্রকাশ্যে আনেনি। তারা আনারুল হোসেনের মোবাইল ফেনের কললিস্ট খতিয়ে দেখছে।