হাঁসুয়া-শাবল গিয়ে কুপিয়ে হত্যা, বগটুই গ্রামেই খুনের অস্ত্র উদ্ধার করল সিবিআই
হাঁসুয়া-শাবল গিয়ে কুপিয়ে হত্যা, বগটুই গ্রামেই খুনের অস্ত্র উদ্ধার করল সিবিআই
সিবিআই তদন্ত শুরু হতেই উদ্ধার বগটুই হত্যাকাণ্ডে খুনের অস্ত্র। ঘটনাস্থল থেকেই শাবল এবং হাঁসুয়া উদ্ধার হয়েছে। প্রথমিকভাে তদন্তকারীরা মনে করছেন হাঁসুয়া এবং শাবল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে পরে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। ঘটনাস্থলের ভিডিও গ্রাফিও করেছেন তদন্তকারীরা। সোনা শেখের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে।
খুনের অস্ত্র উদ্ধার
বগটুই হত্যাকাণ্ডে খুনের অস্ত্র উদ্ধার করল সিবিআই। সোনা শেখের বাড়ি থেকে একটি শাবল এবং হাঁসুয়া উদ্ধার হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী এই হাঁসুয়া এবং শাবল গিয়ে প্রথমে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। পড়ে ঘরে শিকল তুলে দিয়ে পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সাক্ষীর বয়ান অনুযায়ী তল্লাশিতে গিয়ে সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা সোনা শেখের বাড়ি থেকে একটি হাঁসুয়া এবং একটি শাবল উদ্ধার করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী কি বলেছে বয়ােন
আজই সিবিআই আধিকারীকরা বগটুই গ্রামে গিয়ে সেখানকার গ্রামবাসীদের বয়ান নিয়েছেন। সেখানে এক কিশোর জানিয়েছিল যে প্রথমে হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছিল তাঁর মা এবং কাকিমাকে। তারপর ঘরে শিকল তুলে গিয়ে পেট্রোল ছড়িয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তাঁর বোনেরা অনেক অনুরোধ করলেও তাঁরা শোনেননি। এমনই অভিযোগ করেছিলেন সেই কিশোর। তার বয়ান শোনার পরেই বগটুই গ্রামে গিয়ে সোনা শেখের বাড়িতে যায় তাঁরা। সেখান থেকে একটি হাঁসুয়া এবং একটি শাবল উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা।
আনারুলদের হেফাজতে নিল সিবিআই
বগটুই কাণ্ডে ধৃত মূল অভিযুক্ত আনারুল হোসেন সহ ১১ জনকে হেফাজতে নিল সিবিআই। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই তৃণমূল কংগ্রেস ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এই ঘটনায় নাম জড়িয়ে পড়েছে আনুব্রত মণ্ডলেরও আনারুল হোসেন নিজে দাবি করেছেন অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে বিবাদের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। কাজই সিবিআই তদন্ত শুরু হওয়ায় স্ক্যানারে রয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলও।
সিবিআই তদন্তে আপত্তি তৃণমূলের
হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। হাইকোর্টের নজরদারিতে বগটুই কাণ্ডের তদন্ত করা হবে। ৭ এপ্রিলের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে বলে জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তারপরেই সিবিআই তদন্তের বিরোধিতা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁরা দাবি করেছে মুখ্যমন্ত্রী সবরকম পদক্ষেপ করেছিলেন দোষীদের শাস্তি দেওয়ার জন্য। মৃত পরিবারদের আর্থিক সাহায্যও ঘোষণা করেছিেন তিনি। তারপরেও সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন ছিল না।