রামপুরহাট কাণ্ডে সিবিআই স্ক্যানারে পুলিশ সুপার, প্রাথমিক তদন্তে প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য
রামপুরহাট কাণ্ডে সিবিআই স্ক্যানারে পুলিশ সুপার, প্রাথমিক তদন্তে প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য
রামপুরহাটের ঘটনার তদন্তে বীরভূমের পুলিশ সুপারকে তলব করতে চলেছে সিবিআই। প্রাথমিক তদন্তের পর তাঁরা জানিয়েছেন পুরো হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ৪০ জন জড়িত রয়েছে। বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠীর দিকেও সন্দেহ রয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান থেকে শুরু করে দমকলকর্মী অনেককেই জেরা করেছেন তাঁরা। তাতেই উঠে আসতে শুরু করেছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
বীরভূমের পুলিশ সুপার তলব হতে পারেন
রামপুরহাট কাণ্ডে বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্র নাথ ত্রিপাঠীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই সিবিআই স্ক্যানারে রয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠিকে শীঘ্রই সমন পাঠানে সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারীকরা। তাঁকে জেরা করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই রামপুরহাট থানার সাসপেন্ডেড সার্কেল ইন্সপেক্টর ত্রিদীপ প্রামাণিককে তলব করে জেরা করেছে সিবিআই। জেরা করা হয়েছে সাসপেন্ডেড এসডিপিও সায়ন আহমেদকেও। রামপুরহাট থানা থেকে মাত্র ৩ কিলোমিটার দূরে এইরকম নারকীয় হত্যাকাণ্ড চলল তার পরেও কেন পুলিশ তৎপর হল না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
ঘটনায় কমপক্ষে ৪০ জনের হাত
রামপুরহাটের নারকীয় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কমপক্ষে ৪০ জনের হাত রয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানিয়েছে পুলিশ সুপার। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ২২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেনও রয়েছেন। বগটুই গ্রামের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারীকরা জানিয়েছেন এই ঘটনার দিন দুষ্কৃতীরা গ্রামে ঢুকে এই ১০টি বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। সেখানকার বাসিন্দাদের প্রবলভাবে মারধর করে এবং তারপরে বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। ১০টি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
ভাদু শেখ খুনে গ্রেফতার আরও তিন
ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ভাদু শেখ খুনে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বীরভূম ও ঝাড়গ্রামের সীমান্ত থেকে এবং মালদহের সীমানা েথকে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজু শেখ, সঞ্জু শেখ, শেরা শেখ নামেএই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিকে আজ আবার দমকলকর্মীদের জেরা করছে সিবিআই। ঘটনার দিন কেউ তাঁদের আগুন নেভাতে বাধা দিয়েছিল কিনা তা জানতে চেয়েছেন তদন্তকারীরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ঘটনার দিন পুলিশের সঙ্গে দমকল কর্মীদের মৃতের সংখ্যার তালিকা প্রকাশে গলদ ছিল। দমকল দাবি করেছিল ১০ জনকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। আর পুলিশের দাবি ছিল ৮ জনকে মারা হয়েছে।
২০ জনকে গ্রেফতারে তৎপর সিবিআই
এই ঘটনায় যে ৪০ জনের হাত রয়েছে বলে দাবি করেছে সিবিআই। তার মধ্যে ২২ জনকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজ্য পুলিশ ধৃত ২২ জনকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছে। বাকি ২০ জনের সন্ধানে একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই আধিকারীকরা। সূত্রের খবর বুধবার সকালে একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়েছে। এই ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শীদেরও বয়ান নিয়েছে সিবিআই। নজমা বিবির স্বামী দাবি করেছেন এই ঘটনায় অনুব্রত মণ্ডলেরও হাত রয়েছে। কাজেই গোরুপাচার কাণ্ডের পর নতুন করে এই ঘটনায় চাপ বাড়ছে বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতির।
যুদ্ধের জের, আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা খারাপ পরিস্থিতিতে রয়েছে বললেন মোদী