বিভ্রান্ত করছেন আনারুল, খতিয়ে দেখছে সিবিআই! নিহত ৭ জনের দেহের ডিএনএ পরীক্ষার সিদ্ধান্ত
রামপুরহাট-কাণ্ডের তদন্তভার নিয়েছে বেশ কয়েকদিন হয়ে গিয়েছে সিবিআইয়ের! ঘটনার সুত্রে পৌঁছতে একেবারে সরজমিনে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন আধিকারিকরা। সুত্রের খবর, ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজনকে র্যাডারে নিয়ে এসেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী
রামপুরহাট-কাণ্ডের তদন্তভার নিয়েছে বেশ কয়েকদিন হয়ে গিয়েছে সিবিআইয়ের! ঘটনার সুত্রে পৌঁছতে একেবারে সরজমিনে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন আধিকারিকরা। সুত্রের খবর, ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজনকে র্যাডারে নিয়ে এসেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা।
এমনকি বেশ কয়েকজন ঘটনায় যুক্ত থাকার অপরাধে চিহ্নিত করা হয়েছে। যদিও এই বিষয়ে আরও নিশ্চিত হতে চাইছে সিবিআই। আর তাই দফায় দফায় জেরা চালাচ্ছেন আধিকারিকরা। তবে খুব শিঘ্রই হয়তো রহস্যের জট খুলবে বলে আশা করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের একাংশ। যদিও এই বিষয়ে সরকারি ভাবে সিবিআইয়ের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
আনারুলকে ফের জেরা সিবিআইয়ের
একাধিক সাক্ষ্য এবং বেশ কয়েকজনকে ইতিমধ্যে জেরা সেরেছে সিবিআই। একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে আনামুলের নাম উঠে এসেছে। এই বিষয়ে নতুন করে আনামুলকে জেরা সিবিআইয়ের। এছাড়াও আরও বেশ কয়েকজন ধৃতকেও ঘটনায় জেরা করা হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। এদিন সকালেই আনামুল সহ বেশ কয়েকজনকে রামপুরহাট থানা থেকে নিয়ে আসা হয় সিবিআইয়ের অস্থায়ী ছাউনিতে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, আনামূল বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। যদিও ঘটনার সময় তিনি ছিলেন না বলেই জানিয়েছেন তদন্তকারীদের। কিন্তু তা বিশ্বাসযোগ্য নয় বলেই মত সিবিআইয়ের আধিকারিকদের।
প্রশাসনের কর্তাদের তলব-
অন্যদিকে প্রশাসনের বেশ কয়েকজনের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আর সেই কারণে ফের দমকলের ওসিকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। ডাকা হয়েছে রামপুরহাট থানার ২ পুলিশ কর্মীকেও। ঘটনার দিন পুলিশ কর্মীর ডিউটি অবস্থান বিষয়ে জানতে চান সিবিআই আধিকারিকরা। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন রামপুরহাটের পুলিশ আধিকারিককে জেরা করেছে সিবিআই। জেরা করা হয়েছে রামপুরহাটের তৎকালীন SDPO সায়ন আহমেদ এবং সংশ্লিষ্ট থানার আইসিকেও। যদিও আজ শুক্রবার ফের একবার আইসিকে জেরা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
ডিএনএ পরীক্ষা করবে সিবিআই
অন্যদিকে রামপুরহাটকাণ্ডে নিহত ৭ জনের দেহের ডিএনএ পরীক্ষা করাবে সিবিআই। এমনটাই জানা যাচ্ছে। দেহ শনাক্ত না করেই শেষকৃত্য সম্পন্ন করার অভিযোগ। এই অবস্থায় ডিএনএ পরীক্ষার সিদ্ধান্ত। একটি বাড়িতে সাতজনের মৃত্যু হয় ঘটনার দিন। সেই দেহগুলি ময়নাতদন্তের সময়ে ডিএনএ সংগ্রহ করে রাখা হয়। সেই ডিএনএ'র সঙ্গে পরিবারের বাকি সদস্যদের সঙ্গে সেই নমুনা মিলিয়ে দেখা হবে। আর তা হবে দিল্লিতে কেন্দ্রের ফরেন্সিক ল্যাবে।
অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি
এফআইআরে বেশ কয়েকজনের নাম থাকলে তাঁদের কোনও খোঁজ নেই। তাঁদের খোঁজে গত কয়েকদিন ধরেই তল্লাশি চালাচ্ছেন সিবিআই আধিকারিকরা। বেশ কয়েকটি টিমে ভাগ হয়ে চলছে তল্লাশি। পাশাপাশি সিসিটিভি ফুটেজও পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।