দেহরক্ষীর মাধ্যমে যেত টাকা! দশমবারের জন্য সিবিআই-এর তলব অনুব্রতকে, বুধবার হাজিরার নির্দেশ
সোমবার ফিরেছিলেন বীরভূমের (Birbhim) বাড়িতে। আর মঙ্গলবার ফের তলবের নোটিশ জেলা তৃণমূল (Trinamool Congress) সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) । সূত্রের খবর অনুযায়ী, বুধবার বেলা ১১ টায় তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দে
সোমবার ফিরেছিলেন বীরভূমের (Birbhim) বাড়িতে। আর মঙ্গলবার ফের সিবিআই তলবের নোটিশ জেলা তৃণমূল (Trinamool Congress) সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal)। সূত্রের খবর অনুযায়ী, বুধবার বেলা ১১ টায় তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নিজাম প্যালেসে। ইতিমধ্যে ইমেলে নোটিশ পাঠানো হয়েছে সিবিআই (CBI)-এর তরফে। বেলায় অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে গিয়েও নোটিশ দিতে চলেছেন সিবিআই আধিকারিকরা।
১০ বার তলবে এখনও পর্যন্ত হাজিরা একবার
অনুব্রত মণ্ডলকে সিবিআই এখনও পর্যন্ত ১০ বার তলব করেছে, কিন্তু তিনি মাত্র একবার হাজিরা দিয়েছেন। তাও হাজিরা দিতে গিয়ে বলেছিলেন এসএসকেএম-এ চিকিৎসকদের পরামর্শ করার সময় আগে থেকেই ঠিক করা রয়েছে।ফলে ঘন্টা আড়াই সিবিআই আধিকারিকদের সামলে তিনি চলে গিয়েছিলেন এসএসকেএম-এ।
সিবিআই-এর বাড়তি সতর্কতা
কখনও ব্যস্ততা, কখনও অসুস্থতার দোহাই দিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। এর বেশিরভাগটাই অসুস্থতার দোহাই। সেই কারণে এবার অনুব্রত মণ্ডল.কে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে প্রথমে মেল করা হয়েছে। তারপর সিবিআই আধিকারিকরা তাঁর বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়িতে গিয়ে নোটিশ দিয়ে আসবেন বলে জানা গিয়েছে।
অসুস্থতা নয়, ক্রনিক অসুখ
সিবিআই তাঁকে সোমবার নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে বলেছিল। কিন্তু তিনি রবিবার কলকাতায় চিনার পার্কের ফ্ল্যাটে যান এবং সোমবার তিনি এসএসকেএম-এ যান চেকআপের জন্য। তাঁর জন্য আগে থেকেই কেবিন ঠিক করা থাকলেও চিকিৎসকদের মেডিক্যাল টিম জানিয়ে দেয় অনুব্রত মণ্ডলের সেই ধরনের অসুস্থতা কিছু নেই, যার জন্য তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। তাঁর যেসব অসুস্থতা, তার সবই ক্রনিক। ফলে তাঁর হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন নেই। এমন কী বিশ্রামের প্রয়োজনের কথাও লেখা হয়নি চিকিৎসকদের রিপোর্টে। চিকিৎসকদের এই রিপোর্টই সিবিআই-এর তদন্তকারীদের কাছে এখন বড় হাতিয়ার। সোমবার বিকেলের মধ্যেই অনুব্রত মণ্ডল বোলপুরের বাড়িতে ফিরে যান।
সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে অনুব্রতের নাম
এখনও পর্যন্ত গরু পাচার মামলায় সিবিআই-এর তরফে তিনটি চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে। প্রথম জুটি চার্জশিটে ছিল বিএসএফ কমান্ডান্ট সতীশ কুমার এবং এনামূল হকের নাম। সোমবার জমা দেওয়া চার্জশিটে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন, প্রাক্তন যুব তৃণমূল নেতা এবং দেশ ছেড়ে যাওয়া বিনয় মিশ্রের ভাই বিকাশ মিশ্র এবং গরুর হাটে ব্যবসায়ী আব্দুল লতিফের নাম রয়েছে। সিবিআই-এর তরফে ইঙ্গিত করা হয়েছে সায়গল হোসেনের মাধ্যমে টাকা পৌঁছে যেত অনুব্রত মণ্ডলের কাছে। এব্যাপারে টেলিফোনের কথোপকথনের নথিও আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে সিবিআই-এর তরফে।