'পেট্রোল আনতে বলে লালন শেখের ভাগ্নে ডলারই', বগটুই-কাণ্ডে বিস্ফোরক ধৃত টোটো চালক
ঘটনার প্রায় একমাস হতে চললেও বগটুই-কাণ্ডে বেশ কিছু প্রশ্ন রয়েছে! আর সেই প্রশ্নগুলির একেবারে সুত্রে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন সিবিআই আধিকারিকরা। তদন্তে একের পর এক জাল খুলছেন তদন্তকারীরা। শুধু তাই নয়, ঘটনার পিছনে থাকা একের পর এ
ঘটনার প্রায় একমাস হতে চললেও বগটুই-কাণ্ডে বেশ কিছু প্রশ্ন রয়েছে! আর সেই প্রশ্নগুলির একেবারে সুত্রে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন সিবিআই আধিকারিকরা। তদন্তে একের পর এক জাল খুলছেন তদন্তকারীরা। শুধু তাই নয়, ঘটনার পিছনে থাকা একের পর এক নাম সামনে আসছে।
গত কয়েকদিন আগেই এই ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত টোটো চালক রিটন শেখকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আর সেই রিটনই আজ রবিবার বিস্ফোরক দাবি করে বসলেন।
আজ রিটনকে আদালতে তোলা হয়। সেখানে ফের একবার রিটনকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার দাবি জানানো হয় সিবিআইয়ের তরফে। তবে আদালতে তোলার সময়েই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিস্ফোরক দাবি করেন রিটন। তিনি বলেন, ঘটনার দিন লালন শেখের ভাগ্নেই ডলারই তাঁকে পেট্রোল আনার কথা বলে।
বলে রাখা প্রয়োজন, বগটুইয়ে একের পর এক বাড়ি জ্বালানোর ঘটনার সময়ে পেট্রোল ব্যবহার করা হয়। আর সেই পেট্রোলই ধৃত রিটন তাঁর টোটোতে করে নিয়ে আসে।
ইতিমধ্যে এই সংক্রান্ত প্রমাণ হাতে পেয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা। বিশেষ করে যে পেট্রোল পাম্প থেকে ঘটনার দিন তেল কেনা হয় সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে সংগ্রহ করা হয়েছে সিবিআইয়ের তরফে। তবে এবার ডলারের নাম সামনে আসায় ঘটনায় নয়া রহস্য তৈরি হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ঘটনার মূল অভিযুক্ত লালনের যোগও আরও স্পষ্ট হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও ঘটনার পর থেকেই খোঁজ নেই ডলারের। এমনকি এলাকা ছাড়া লালন শেখও। বিভিন্ন ভাবে তাঁদের খোঁজ করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে সিবিআইয়ের তরফে।
ইতিমধ্যে বেশ কয়েক জায়গাতে তল্লাশি চালানো হয়েছে সিবিআইয়ের তরফে। মুম্বই থেকে লালনের বেশ কয়েকজন সঙ্গী ধরা পড়লেও মূল অভিযুক্ত তাঁকে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে ডলারের পরিবারের দাবি, সে ভয়ে পালিয়েছে। এমনকি তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ পরিবারের।
ডলারের পরিবারের এক সদস্য সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ভাদু শেখের খুনের ঘটনার পরেই লালন শেখ, ডলার সবাই হাসপাতালেই ছিল। তাঁরা এই ঘটনার সঙ্গে কোনও ভাবে জড়িত নয় বলেও দাবি। এমনকি তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ পরিবারের। তবে ডলার কিংবা লালন শেখ ঠিক কোথায় রয়েছে সে বিষয়ে তাঁরা কিছু জানেন না বলেই দাবি পরিবারের।
অন্যদিকে বগটুই-কাণ্ডে দমকলের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকদের। আর সেজন্য ফের একবার দমকলের বেশ কয়েকজনকে জেরা করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।