বেডরেস্ট নিতে বলেছেন ডাক্তার, বিছানা ছড়ে উঠতে নারাজ কেষ্ট, এবারও সিবিআই হাজিরা এড়ালেন অনুব্রত
বেডরেস্ট নিতে বলেছেন ডাক্তার, বিছানা ছড়ে উঠতে নারাজ কেষ্ট, এবারও সিবিআই হাজিরা এড়ালেন অনুব্রত
ফের সিবিআই হাজিরা এড়ালেন বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। আজ গরুপাচার মামলায় সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু এবারও শারিরীক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। তাঁর আইনজীবী চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলকে বেড রেস্ট নিতে বলেছেন চিকিৎসকরা সেকারণে তিনি এতদূরে এসে হাজিরা দিতে পারবেন না।
ফের হাজিরা এড়ালেন অনুব্রত
গরুপাচার কাণ্ডের পর এবার ভোটপরবর্তী হিংসা মামলায় সিজিও কমপ্লক্সে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলকে। এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরের দিনই সিবিআই তাঁকে তলব করে। কিন্তু শারিরীক ভাবে এখনও তিনি সুস্থ নন জানিয়ে হাজিরা এড়ালেন অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর আইনজীবী সিবিআইকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল শারীরিক ভাবে এখনও সুস্থ নন। তিনি এতদূরে এসে হাজিরা দিতে পারবেন না। রবিবার বিকেল ৫টার মধ্যে তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে বলেছিল সিবিআই
কী জানিয়েেছন অনুব্রত মণ্ডল
অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী চিঠিতে সিবিআইকে জানিয়েছেন হাসপাতাল থেকে ছুটি পেলেও তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতির অবস্থা এখনও ভাল নয়। শারীরিক অবস্থা এখনও ভাল নয় তাঁর। আগামী ১ মাস চিকিৎসকরা তাঁকে বেডরেস্ট নিতে বলেছেন। নিয়মিত অক্সিজেন নিতে হচ্ছে তাঁকে। তাই হাজিরা দেওয়ার জন্য সিবিআইয়ের কাছে ১ মাস সময় চেয়েছেন তাঁর আইনজীবী। এর আগে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলাতেও তলব করা হয়েছিল বীরভূমের জেলা সভাপতিকে। কিন্তু সেখানেও হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি।
অসুস্থ অনুব্রত
এর আগে গরুপাচার কাণ্ডে সিবিআই হাজিরা এড়াতে সোজা এসএসকেএম হাসপাতাে হাজির হয়েছিেলন কেষ্ট। সেখানে উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি থাকার আবদার করেছিেলন চিকিৎসকরা। প্রথমে তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলা হলেও পরে চিকিৎসকরা তাঁকে হাসপাতােল ভর্তি নেন। সেখানে অক্সিজেন রেখেই চিকিৎসা চলছিল তাঁর। বীরভূম জেলা সভাপতির একাধিক সমস্যা দেখা দিেয়ছিল, হার্টের সমস্যার পাশাপাশি অন্ডকোষের সমস্যাও দেখা গিয়েছিল অনুব্রত মণ্ডনের। প্রায় সপ্তাহ খানের হাসপাতােল থাকার পর শুক্রবার তাঁকে ছাড়া হয়।
অনুব্রতকে গ্রেফতারের দাবি
বগটুই কাণ্ডের পর থেকে চাপে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম জেপি নাড্ডাকে চিঠি দিেয় অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির দাবি করেছেন। এই ঘটনায় অনুব্রত মণ্ডলের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন তাঁরা। এই নিয়ে তুমুল রাজনৈতিক চাপান উতোর শুরু হয়েছিল। বিজেপির পক্ষ থেকে অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারি দাবি করা হয়। বগটুই কাণ্ডে ধৃত আনারুল অনুব্রত মণ্ডলের নামকরে অভিযোগ করেছিলেন। তারপর থেকেই চাপে রয়েছেন শাসক দলের এই দোর্দণ্ড প্রতাপ নেতা।