রবীন্দ্রনাথের নোবেল কে চুরি করেছিল, স্পষ্ট ইঙ্গিত অনুপমের ফেসবুক পোস্টে
ফের ফেসবুক পোস্টে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন অনুপম হাজরা। রবীন্দ্রনাথের নোবেল চুরি নিয়ে করলেন তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য। সম্র্বতি নোবেল চুরি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বিপাকে পড়েছেন তৃণমূল বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী।
ফের ফেসবুক পোস্টে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন অনুপম হাজরা। রবীন্দ্রনাথের নোবেল চুরি নিয়ে করলেন তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য। সম্র্বতি নোবেল চুরি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বিপাকে পড়েছেন তৃণমূল বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী। পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের বিধায়ককে কটাক্ষ করে অনুপম সুস্পষ্ট ইঙ্গিত করেছেন রবীন্দ্রনাথের নোবেল চুরি নিয়ে।
তৃণমূল বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী নিজের এলাকায় রবীন্দ্রজয়ন্তী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বলেন, রবীন্দ্রনাথকে নোবেল দিয়ে অপমান করা হয়েছিল, তাই বাংলার ছেলেরা তা চুরি করে নিয়েছে। বিজেপি এত সিবিআই সিবিআই করে লাফায়, কিন্তু সিবিআই তো এত বছরেও নোবেলটা খুঁজে বের করতে পারল না। এবার বাংলার পুলিশকে সেই নোবেল খোঁজার কাজে লাগানো হচ্ছে।
তৃণমূল বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারীর এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে অনুপম হাজরা তাৎপর্যপূর্ণ পোস্ট করেন। সেই পোস্টে তিনি ভাতারের তৃণমূল বিধায়ককে টাল গোবিন্দ বলে কটাক্ষ করেন। লেখেন- ভাতারের তৃণমূল বিধায়ক 'টাল' গোবিন্দ, সরি 'মান' গোবিন্দ মহাশয় সাংঘাতিক কনফিডেন্স নিয়ে বলেছেন, কবিগুরুকে নোবেল দেওয়াতে কবিগুরু নাকি অপমানিত বোধ করেন, সেই জন্য বাংলার ছেলেরাই নাকি নোবেল চুরি করে নিয়েছে!
এ প্রসঙ্গে অনুপম হাজরা লেখেন- প্রথমত, আমার দৃঢ় বিশ্বাস এই মন্তব্য শান্তিনিকেতনের প্রবীণ আশ্রমিকদের আঘাত করবে! কিন্তু শান্তিনিকেতনের একজন প্রাক্তন ছাত্র এবং অধ্যাপক হিসেবে, তথা শান্তিনিকেতনের একজন অধিবাসী হিসেবে, আমার মনে হয়েছে তাঁর এই উক্তি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ! কারণ আমরা ছাত্র থাকাকালীন শান্তিনিকেতন নোবেলটি চুরি যায়!
তিনি তাঁর পোস্টে লেখেন- কানাঘুষো এখনও শোনা যায়, তৎকালীন উপাচার্য সুজিত বসু (যিনি উপাচার্য হিসেবে একজন দক্ষ প্রশাসকও ছিলেন)-কে করায়ত্ত করে নিজের আখের গোছাতে না পারায়, তৎকালীন তৃণমূল পরিচালিত বিশ্বভারতী কর্মিসভার দুই-একজন জননেতা উপাচার্য সুজিত বসুর কার্যকালকে কলুষিত করার উদ্দেশ্যে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার পরিকল্পনা করেন!
অনুপম হাজরা আরও লেখেন- আবার ভাতার এলাকাটি শান্তিনিকেতন বীরভূমের লাগোয়া। খুব স্বাভাবিকভাবেই মান গোবিন্দ বাবুর কাছে সঠিক তথ্যটি থাকাটা কিছু অস্বাভাবিক নয় যে, বাংলার কোন ছেলেরা কবিগুরুর নোবেলটি চুরি করেছিল! তাহলে কি কবিগুরুর নোবেলটি তাঁরই দলের ছেলেরা...!
লেখাটি তিনি শেষ করেননি। উহ্য রেখে দেন। তাঁর নিশানায় কে বা কারা ছিল তা স্পষ্ট এই লেখনিতে। অনুপম হাজরার পোস্টে কটাক্ষ করে অনেকে নানা কথা লিখেছেন। কেউ লিখেছেন- আগো মোদী-শাহকে ঠিক হতে বলো। তারপর এসব বলবে। আবার একজন লিখেছেন, চুরির পর কি পাচারের জন্য ভাইপো সাহায্য করেছিল। তার উপর একজন কমেন্ট করেছেন- মনে হচ্ছে সেটাই।