
গরু পাচার মামলায় অনুব্রত কন্যাকে দিল্লিতে তলব এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের
গরু পাচার মামলাতে নয়া মোড়! অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে দিল্লিতে তলব করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আগামী ২৭ অক্টোবর তাঁকে সেখানে হাজিরা দেওয়ার কথা ইডির নোটিশে বলা হয়েছে। এমনটাই প্রকাশিত খবরে দাবি করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

তবে কেন দিল্লিতে তলব করা হল অনুব্রত কন্যাকে তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক চর্চা। বলে রাখা প্রয়োজন, ইতিমধ্যে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গলকে দিল্লিতে নিয়ে যেতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। যদিও প্রথমে আসানসোল আদালত, এরপর হাইকোর্ট সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।
সম্প্রতি দিল্লিতে রাউস অ্যাভিনিউ পিএমএলএ আদালতে এই বিষয়ে আবেদন জানিয়েছে ইডি। যদিও সেই মামলাতে শুনানি হয়নি। আগামী সোমবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হবে। আর এর মধ্যেই অনুব্রত কন্যাকে দিল্লিতে ইডির দফতরে হাজিরা দিতে নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থা।
অন্যদিকে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই। এমনকি উৎসব মিটতেই এই মামলাতে একেবারে নড়েচড়ে বসেছে তদন্তকারী সংস্থা। একেবারে বোলপুরে মাটি কামড়ে ধরে চলছে তল্লাশি অভিযান। ইতিমধ্যে একাধিক ব্যক্তি এবং অনুব্রত ঘনিষ্ঠকে জেরা করেছে সিবিআই।
এমনকি অনুব্রত কন্যা সুকন্যার সংস্থার সমস্ত তথ্য জানতে চেয়ে নোটিশ পাঠিয়েছে গোয়েন্দারা। আর তা নিয়ে সোমবার সিবিআইয়ের মুখোমুখি হওয়ার কথাও জানানো হয়েছে। আর এর মধ্যেই এবার ইডির নোটিশ গেল অনুব্রত বাড়িতে। বলে রাখা প্রয়োজন। গত কয়েকদিনের তদন্তে অনুব্রত কন্যার সংস্থার নামে বিপুল সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে সিবিআই।
কীভাবে এবং কোথা থেকে আসল বিপুল টাকা। আর সেটাই খুঁজে বার করতে চান তদন্তকারীরা। ব্বিশেষ করে যেখানে গরু পাচারের টাকার উৎস খুঁজতে হন্যে হয়ে খুঁজছেন সেখানে কীভাবে পেশায় শিক্ষিকা সুকন্যার এত টাকার সম্পত্তি তৈরি হল? সেটাই এখন ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। আর তাই সুকন্যা মণ্ডলের সম্পত্তি হিসাব সংক্রান্ত তথ্যও পেতে চায় সিবিআই।
অন্যদিকে কয়েক দফায় ইতিমধ্যে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গলকে জেরা করেছে ইডি। তাঁরও বিশাল সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। একজন রাজ্যের কর্মী হয়ে কীভাবে কোকটী কোটি সম্পত্তি সেটাও নজরে রয়েছে ইডির। অন্যদিকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কটাক্ক, এখানে জেলে অষ্টমীতে লুচি, নবমীতে খাসির মাংস খায়। এদের তিহার জেলে রাখলে বুঝবে জেলে থাকা কাকে বলে।