এক কোটির লটারি জিতলেন তৃণমূলের বেতাজ বাদশা অনুব্রত! শুনে কী বলছেন তিনি?
কেষ্টার লটারি লাভ! তাও আবার কিনা এক কোটি টাকা। অবাক হচ্ছেন। হ্যাঁ! ঠিকই পড়ছেন। বীরভূমের বেতাজ বাদশা তিনি। তাঁর নামেই কাঁপে গোটা জেলা। আর তিনিই কিনা লটারি কেটে এক কোটি টাকা জিতলেন। আর এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই একেবারে হইহই-কাণ্ড
কেষ্টার লটারি লাভ! তাও আবার কিনা এক কোটি টাকা। অবাক হচ্ছেন। হ্যাঁ! ঠিকই পড়ছেন। বীরভূমের বেতাজ বাদশা তিনি। তাঁর নামেই কাঁপে গোটা জেলা। আর তিনিই কিনা লটারি কেটে এক কোটি টাকা জিতলেন। আর এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই একেবারে হইহই-কাণ্ড।
বীরভূম ছেড়ে গোটা রাজ্যেই এখন একটাই খবর...ভানু পেল থুড়ি কেষ্টা মন্ডল পেল লটারি। এই খবর তৃণমূলের জেলা সভাপতির কাছেও পৌঁছেছে। জানেন শুনে কি বলছেন তিনি?
Lottrysambadresult. ইন- নামে একটি ওয়েবসাইটে এই খবর সামনে আসে। তাতে দেখা যাচ্ছে, লটারি জিতেছেন অনুব্রত মন্ডল। একেবারে তাঁর ছবি দিয়ে তাঁকে ওই ওয়েবসাইটে শুভেচ্ছাও জানানো হয়েছে।
বীরভূম জেলার ১৭ তারিখের টিকিটের রেজাল্টে দুপুর ১ টার খেলাতে দেখা যাচ্ছে এই ছবি। আর সেই ছবি এবং ওয়েবসাইটে থাকা শুভেচ্ছাবার্তা সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হতে আরও বেশিক্ষণ সময় লাগেনি।
যদিও ওয়েবসাইটের এই বিষয়ে প্রকাশিত ছবি এবং এই তথ্যের বিষয়ে ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা তথ্য যাচাই করেনি। ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য এবং ছবি অনুযায়ী এই খবর লেখা হয়েছে।
তবে এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত অনুব্রত মন্ডলের কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। যদিও তিনি নাকি ঘনিষ্ঠমহলে এই বিষয়ে সত্যতা সম্পূর্ণ ভাবে অস্বীকার করেছেন।
শুধু তাই নয়, ঘটনায় রীতিমত ক্ষুব্ধ বলেও শোনা যাচ্ছে। যদিও প্রকাশ্যে এই বিষয়ে কিছুই বলতে চাননি বীরভূমের তৃণমূলের বেতাজ বাদশা। তবে এই ঘটনায় জেলাজুড়ে রীতিমত হইচই বেঁধে গিয়েছে। অনেকেই বলছেন, দাদা কি লটারি কেটেছিল!!!
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করছেন অনুব্রত। তাঁর নামে প্রশাসনের কর্তারও নাকানি চোবানি খান। এমনটাই গুঞ্জন। কালীপুজোতে তিনি কালীপুজোয় মেতে ওঠেন। ২০২১ সালে তাঁর পুজোয় মাকে ৫৭০ ভরি গয়না পড়ানো হয়েছিল। যা সবটাই সোনার।
আনুমানিক মূল্য প্রায় তিন কোটির কাছাকাছি। প্রত্যেক বছর এই গয়নার পরিমান বাড়তে থাকে। ২০২০ সালে কালী প্রতিমার সোনার গয়না ছিল ৩৭০ ভরি। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই এই প্রতিমার সোনার গয়নার পরিমাণ বেড়ে হয়েছে ২০০ ভরির কাছাকাছি। যদিও তিনি কোনও কিছুই কেনেন না। সবটাই পাওয়া বলে জানিয়েছেন অনুব্রত।
এখানেই শেষ নয়, বিভিন্ন সভাতে তাঁকে রুপোর মুকুট পড়ানো হয়। আর সেখানে দাঁড়িয়ে তিনি কিনা লটারি কাটবেন? নৈব নৈব চ। যদিও এখনপ পর্যন্ত ওই ওয়েবসাইটের তরফে কিছু জানানো হয়নি। এমনকি এই বিষয়ে পুলিশের তরফেও কিছু বলা হয়নি। ফলে একটা জল্পনা রয়েই গিয়েছে অন্তত অনুব্রতের লটারি জেতার ব্যপারে।