আদালতে দাঁড়িয়েই পঞ্চায়েতের পাঠ দিলেন অনুব্রত, জানালেন সারাজীবন কিন্তু জেলে থাকব না
অনুব্রত এখনও জেলবন্দি। আসানসোল জেলই এখন তাঁর অস্থায়ী ঠিকানা। তবু বীরভূম জেলা তৃণমূলের রাশ এখনও তাঁর হাতেই। তাঁরই অঙ্গুলিহেলনে চলে দল। শনিবার আদালত চত্বরেই তিনি খবর নিলেন জেলার রাজনীতির। একইসঙ্গে তিনি পাঠ দিলেন ভোটের।
অনুব্রত এখনও জেলবন্দি। আসানসোল জেলই এখন তাঁর অস্থায়ী ঠিকানা। তবু বীরভূম জেলা তৃণমূলের রাশ এখনও তাঁর হাতেই। তাঁরই অঙ্গুলিহেলনে চলে দল। শনিবার আদালত চত্বরেই তিনি খবর নিলেন জেলার রাজনীতির। একইসঙ্গে তিনি পাঠ দিলেন ভোটের। বছর ঘুরলেই যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই আদান্ত রাজনীতিক অনুব্রত মণ্ডল জেলে বসেই ভেঁজে চলেছেন পরিকল্পনা।
অনুব্রত পাঠ দেন পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রস্ততির
শনিবার দু-পক্ষের সওয়াল-জবাবের পর রায় ঘোষণার আগে কিছুক্ষণ বিরতি ছিল। বিচারক তখন উঠে যান নিজের চেম্বারে। সেই সময় কয়েকজন কর্মী অনুব্রত মণ্ডলের কাছে আসেন। তিনি তাঁদের কাছে খোঁজ নেন দলের কাজকর্মের। তাঁদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন। পাঠ দেন পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রস্ততির। কোন পথে এগোতে হবে, কোথায় কী কৌশল নিতে হবে, তা বলে দেন কর্মীদের।
পঞ্চায়েত ভোটের জনসংযোগ কীভাবে করতে হবে
শনিবার দু-পক্ষের শুনানির পর রায় ঘোষণার আগে যে খানিক বিরতি ছিল, সেই সময়টুকুই রাজনীতির কাজে লাগালেন অনুব্রত মণ্ডল। তিনি দলের কাজকর্মের বিষয়ে খোঁজখবর নেন। এলাকায় বিজয়া সম্মিলনী ঠিকঠাক হয়েছে কি না, তা জানতে চান। এজলাসে বসেই পঞ্চায়েত ভোটের জনসংযোগ কীভাবে করতে হবে সেই পাঠ দেন তৃণমূলকর্মীদের।
পুজোর ফুল ছুঁইয়ে দিলেন কর্মীরা, পা ছুঁয়ে প্রণামও
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গিয়েছে কর্মীদের তিনি বলেন, বাইরে যাওয়ার দরকার নেই, যে যার নিজের বিধানসভা এলাকায় ব্লকে ব্লকে কাজ করুন। আর দেরি না করে সবাইকে কাজে নেমে পড়তেও বলেন তিনি। এরপর রাজনৈতিক অভিভাবকের কাছ থেকে পঞ্চায়েতের নির্বাচনের পাঠ নিয়ে এক কর্মী তাঁর কপালে তারাপীঠের পুজো করা ফুল ও দলীয় কার্যালয়ে কালীপুজোর ফুলও ছুঁইয়ে দেন। আদালতে ঢোকার মুখে কয়েকজন তাঁর পা ছুঁয়ে প্রণামও করেন।
সারাজীবন কিন্তু জেলে থাকব না
অনুব্রত মণ্ডল বলেন, তিনি সারাজীবন জেলে থাকবেন না। একথা ফলাও করে সবাইকে জানিয়ে দিতে হবে। দলের নেতাদের পাশাপাশি বিরোধীদেরও তিনি বার্তা দেন। দল নিয়ে যা খুশি করা যাবে না। এদিন আদালতে পেশ করার আগে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন বীরভূম জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র মলয় মুখোপাধ্যায়, জেলা সংখ্যালঘু সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত শেখ নাজিমুদ্দিন, তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের নেতা ত্রিদিব ভট্টাচার্য-সহ কয়েকজন নেতা-কর্মী।
অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদন খারিজ হওয়ার পর
ওইদিন আসানসোলের সিবিআই আদালতে খারিজ হয়ে যায় অনুব্রত মণ্ডলের জামিন। ৩৭ দিন পর তাঁকে আদালতে পেশ করা হলেও জামিন হল না। বিচারক জামিন খারিজ করে দিতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী। তিনি প্রশ্ন তুলে দেন, জামিন খারিজের যুক্তি নিয়ে। বিতর্কের শেষ এখানেই নয়। অসহযোগিতা ও প্রভাবশালী তত্ত্বে শনিবার গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদন খারিজ হওয়ার পর অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী তাৎপর্যপূর্ণ যুক্তি খাঁড়া করেন। অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী বলেন, অনুব্রত মণ্ডলের জামিন পরিকল্পনা করেই আটকে রাখা হচ্ছে। বলেন, দলবদল না করলে মিলবে না জামিন। ঘুরিয়ে আদালতের সিদ্ধান্তকে খোঁচা দেন তিনি।