২০২১-এর ভোটের ফল অনুব্রত মণ্ডলের হাতে! বুথ কমিটির সভায় করলেন ঘোষণা
গত কয়েকমাস ধরে টানা বুথ কমিটির সভা করে বেড়াচ্ছেন অনুব্রত মণ্ডল (anubrata mondal)। জানছেন বুথে বুথে দলের পরিস্থিতির কথা। কোনও কোনও সময় আবার নির্দিষ্ট কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিতেও দেখা যাচ্ছে তাঁকে। এবার বিধানসভা ভোটের ফল নিয়েও দাবি করে বসলেন তিনি। সঙ্গে টানলেন আগেরবারের উদাহরণ।

সংগঠন নেই বিরোধীদের
অনুব্রত মণ্ডল দাবি করেছেন, জেলায় বিজেপি, সিপিএম এবং কংগ্রেসের সংগঠন বলে কিছু নেই। সেই জন্য এইসব দল সম্পর্কে তিনি কিছু বলবেন না বলেও জানিয়েছেন। অনুব্রত মণ্ডল ইতিমধ্যেই সাঁইথিয়া, কেতুগ্রাম-সহ একাধিক কেন্দ্রের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দিয়েছেন। তবে তিনি বলেছেন, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে নিজের দলের মধ্যেও অনুব্রত মণ্ডলকে বিরোধের মুখে পড়তে হয়েছে। রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী মঙ্গলকোটে অনুব্রত মণ্ডলের নেতৃত্বে ভোটে লড়াই করতে অস্বীকার করেছেন।

তৃণমূল পাবে ২২০ আসন
এদিন অনুব্রত মণ্ডলকে প্রশ্ন করা হয়েছিল আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কতগুলি আসন পেতে পারে। এব্যাপারে তিনি বলেন, ২০১৬ সালে ভোটের আগে তিনি বলেছিলেন, তৃণমূল ২১০ থেকে ২২০ টি আসন পাবে। শেষ পর্যন্ত তৃণমূল ২১১ টি আসন পেয়েছিল। এবার তিনি বলেছেন, তৃণমূল পাবে ২২০ টি আসন।

দুয়ারে সরকারে জোর
অনুব্রত মণ্ডল ব্যস্ত বুথ ভিত্তিক কর্মী সম্মেলন নিয়ে। এদিন খয়রাশোলের তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের নিয়ে দুবরাজপুর রবীন্দ্র ভবনে কর্মী সম্মেলন করেন তিনি। কর্মী, সমর্থকদের নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন তিনি। পাশাপাশি সরকারের নতুন প্রকল্প দুয়ারে সরকারে থাকা বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা যাতে মানুষের কাছে পৌঁছয় তা নিয়ে তিনি জোর দেন।

কাজ হয়নি শুনতে হয়েছে অনুব্রত মণ্ডল
বুথ ভিত্তিক কর্মিসভায় অনুব্রত মণ্ডলকে নানা কথা শুনতে হয়েছে। কখনও তৃণমূলের মহিলা কর্মী অনুব্রত মণ্ডলের সামনে দাঁড়িয়ে বলেছেন, গ্রামের রাস্তা, টিউবওয়েল দীর্ঘদিন ধরে খারাপ। পঞ্চায়েতকে জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। অভিযোগের প্রতিকার না হলে তিনি ভোট দেবেন না। এলাকায় পঞ্চায়েতের ১০০ দিনের কাজ হয়নি এই অভিযোগও শুনতে হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে।
কোনও কোনও জায়গায় স্থানীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ না রাখার অভিযোগ উঠেছে। নেতাদের অনেকেই দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। বুথ সভাপতিকে না সরালে ভোটের ফলে প্রভাব পড়তে পারে বলেও শুনতে হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে। পাশাপাশি ফাঁক ফোকর বন্ধ করে শক্তিশালী বুথ কমিটি গঠনেরও নির্দেশ দিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল।