দলে ফোন নম্বর 'কেলেঙ্কারি' ধরলেন অনুব্রত, বিজেপি জানাল কারণ
তৃণমূলের কোন জেলাতেই যখন সেরকম কোনও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ছিল না, করোনা কালে সেই সময় থেকেই বুথ পর্যায়ের সভা করতে শুরু করেন অনুব্রত মণ্ডল (anubrata mondal)। খুঁজে পেয়েছিলেন দলীয় নেতা কর্মীদের কাজে শিথিলতার নানা অভিযোগ। পরে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে বুথ কমিটি গড়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাতেও ফাঁকিবাজি হাতে নাতে ধরলেন তিনি।

শক্তিশালী বুথ কমিটি গড়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন অনুব্রত
সংগঠনের ফাঁকফোকর বন্ধ করতে শক্তিশালী বুথ কমিটি গড়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। সেখানে বলা হয়েছিল বুথ পিছু অন্তত ষাট জনকে নিয়ে কমিটি তৈরি করতে হবে। এর মধ্যে অন্তত ৪০ জন পুরুষ এবং ২০ জন মহিলাকে রাখতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। প্রত্যেকের নামের পাশে ফোন নম্বর দিতেও বলা হয়েছিল।

দলের নেতা, কর্মীদের ফাঁকিবাজিতে ক্ষুব্ধ অনুব্রত
বুথ কমিটি পর্যালোচনা করতে গিয়েই ফাঁকিবাজি ধরে ফেলেছেন অনুব্রত মণ্ডল। যেসব ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছে তার বেশিরভাগটাই ভুয়ো। অর্থাৎ মনগড়া নাম ও ফোন নম্বর বসানো হয়েছে সেখানে। অনুব্রত মণ্ডল বলেন, কোন করলে কেউ বলছেন, তিনি চেন্নাইয়ে আছেন। আবার কোনও নম্বরে ফোন করলে জানা যাচ্ছে সেটি পুরনো নম্বর। শুধু পুরুষদের ক্ষেত্রেই নয়, মহিলাদের ক্ষেত্রেও এইকই পরিস্থিতি বলে উল্লেখ করেন তিনি। এই ঘটনায় দলীয় কর্মীদের তিরস্কারও করেন তিনি। পাশাপাশি বুথের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের কাথ থেকে সংগঠন সম্পর্কে তথ্য চান বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি।

তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্বের সাফাই, বিজেপির দাবি
যদিও তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্বের তরফে সাফাই দেওয়া হয়েছে। তারা বলছে, কোনও কর্মী হয়ত ভুল করে নম্বর দিয়ে ফেলেছেন। জেলা সভাপতি নির্দেশ দেওয়ার পরেই তা সংশোধনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব। যদিও জেলা বিজেপি নেতৃত্বের কটাক্ষ জোর করে কর্মীদের ধরে রাখা যায় না। অনেক তৃণমূল কর্মীই সামনে তৃণমূলের সঙ্গে থাকলেও, পিছনে বিজেপির সঙ্গে আছে বলে দাবি করেছে বিজেপি। ভুল ফোন নম্বর দেওয়া প্রসঙ্গে বিজেপি মত হল, তৃণমূলের কর্মীরা দলের নেতাদের হাত থেকে বাঁচতেই ভুল নম্বর দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য মঙ্গলকোট আসন থেকে জয়ী হয়ে মন্ত্রিসভায় রয়েছেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। তিনি জানিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের হয়ে তিনি কাজ করতে পারবেন না। মঙ্গলকোটে কীভাবে নির্বাচন করা হয়েছিল, তা সাধারণ মানুষ জানে বলেও মন্তব্য করেছিলেন সিদ্দিকুল্লা। মঙ্গলকোট বিধানসভা কেন্দ্রটি পূর্ব বর্ধমানের মধ্যে পড়লেও, সেটি আবার বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে। তাই সাংগঠনিক ভাবে অনুব্রত মণ্ডল দেখাশোনা করেন।

মঙ্গলকোটে বুথ ভিত্তিক সভা
সোমবার অনুব্রত মণ্ডল ফের মঙ্গলকোটে বুথ ভিত্তিক সভায় যোগ দিয়েছিলেন। সেখানে অনুব্রত মণ্ডল ছাড়াও ছিলেন বোলপুরের সাংসদ অসিত মাল। সেখানে কাটোয়া ১ ব্লকের ১৮টি ও ভাল্যগ্রামের ২৩টি এবং মাঝিগ্রামের ১৮ টি বুথের কমিটিকে ডাকা হয়েছিল।
