বেইমান, বিয়ে করেও বউকে ছেড়ে দিয়েছেন উনি, মোদীকে নজিরবিহীন আক্রমণ অনুব্রতের
ভোট আসছে বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। একই সঙ্গে কু-কথায় আক্রমণও বাড়ছে। শাসক-বিরোধী সবার মুখেই কু-কথা। ফের একবার শালীনতার মাত্রা ছাড়ালেন অনুব্রত মন্ডল।
প্রধানমন্ত্রী স্ত্রীকে সামনে এনে মোদীকে আক্রমণ শানালেন বীরভূমের বেতাজ বাদসা। তাঁর দাবি, যিনি স্ত্রীয়ের মর্ম বোঝানে না তিনি মহিলাদের মর্ম কীভাবে বুঝবেন বলে মন্তব্য অনুব্রতের। তাঁর এই মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিজেপির দাবি, বাংলার সংস্কৃতি কারা নষ্ট করছেন মানুষ ঠিক বুঝবেন। আর সেই জবাব ভোটের বাক্সে সাধারণ মানুষ দেবে বলে দাবি বিজেপির।

স্ত্রীয়ের মর্ম বোঝো না!
এদিন অনুব্রত মন্ডল নাম করে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ শানান। একাধিক ইস্যুতে আক্রমণ করেন। আর তা করতে গিয়েই অনুব্রত মন্ডল বলেন, তুমি তো বিয়ে করেছ। কিন্তু বউকে ছেঁড়ে দিয়েছ। স্ত্রীয়ের মর্ম বোঝেন মোদী। ভালো কীভাবে করবেন তাহলে উনি, প্রশ্ন বীরভূমের বেতাজ বাদসার। তিনি আরও বলেন, এই ভোট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোট। একটা ভুল সব শেষ হয়ে যেতে পারে বলে মন্তব্য কেষ্টার। ফলে সাধারণ মানুষকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দেওয়ার দাবি করেন অনুব্রত।

দাড়ি বাড়ছে আর জ্বালানির দাম বাড়ছে
প্রধানমন্ত্রী দাড়ি নিয়েও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি অনুব্রত মন্ডল। ভন্ড সাধু বলেও আক্রমণ মোদী। একই সঙ্গে বেইমাণ বলেও আক্রমণ অনুব্রতের। সভা থেকে মোদীকে আক্রমণ করে অনুব্রত বলেন, যত দাড়ি বাড়ছে তত পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়ছে। সুতরাং, মোদীকে ভোট না দেওয়ার আবেদন অনুব্রতের গলায়।

গত কয়েকদিন আগেই ক্ষমা চান অনুব্রত!
গত কয়েকদিন আগেই অনুব্রত মণ্ডল বলেন, 'যদি আমি কিছু ভুল বলে থাকি, তাহলে আমি জোড়হাত করে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আপনারাই ভগবান। আপনারাই আল্লা। যাঁরা গ্রামীণ ডাক্তার, হোমিওপ্যাথি ডাক্তার, আপনারা সবাই মিলে এই ভোটটা করিয়ে দেবেন । আপনাদের কাছে জোড়হাত করে বলছি।' তিনি আরও বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গে ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্র। ২৯৪ দফায় ভোট হোক। তাতে আমার কিছু যায় আসে না। কিন্তু অমানবিক বেনজির সিদ্ধান্ত কমিশনের। কেন্দ্র বাহিনীর জওয়ানরাও হয় আমার, না হয় কারও না কারও বাড়ির ছেলে, ভাই বা দাদা। এই কাঠফাটা গরমে তারা কষ্ট পাবে। আট দফায় নির্বাচন ঠিক নয়।'

অনুব্রতকে নজরবন্দি
গত কয়েকদিন আগে ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এরমধ্যে অনুব্রতর সভা ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। বোলপুর উচ্চ বিদ্যালয় চত্বরে আজ দুপুর দেড়টার পর সভা করার কথা ছিল অনুব্রত মণ্ডলের। শনিবার হওয়ায় স্কুল দুপুর দেড়টায় ছুটি হওয়ার কথা। অভিযোগ, সময়ের আগে সভা শুরু করে দেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি। বাধ্য হয়ে পড়ুয়াদের সময়ের আগে ছুটি দিয়ে দেন প্রধান শিক্ষক। এদিকে এরই মধ্যে অনুব্রতকে নজরবন্দি করার কথা জানা গিয়েছে নির্বাচন কমিশন মারফত।