রাত নামতেই ব্যাপক বোমাবাজি শুরু বীরভূমে, 'ফাইন খেলা' হবে বললেন কেষ্টা
রাত পোহালেই অষ্টমী! একেবারে শেষ দফার নির্বাচন। বীরভূম-সহ মোট চার জেলার ৩৫টি আসনে ভোট। ভোটের ২৪ ঘণ্টা আগে খবরের শিরোনামে রইলেন সেই বীরভূমের জেলা সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল।
রাত পোহালেই অষ্টমী! একেবারে শেষ দফার নির্বাচন। বীরভূম-সহ মোট চার জেলার ৩৫টি আসনে ভোট।
ভোটের ২৪ ঘণ্টা আগে খবরের শিরোনামে রইলেন সেই বীরভূমের জেলা সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল।
কার্যত ভোটের আগের দিন নির্বাচন কমিশনকে নাকানি চোবানি খাওয়ালেন বীরভূমের বেতাজ বাদশা। যেভাবে এদিন কমিশনের আধিকারিকদের অনুব্রত মন্ডল গোটা বীরভূম ঘোরালেন তাতে মুখে কিছু না বললেও খুশি তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
ঘনিষ্ঠ মহলে অনেকেই বলছেন ভোটের আগের দিন খেলা দেখালেন অনুব্রত!
তবে এদিন সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন অনুব্রত মন্ডল। আর সে বৈঠক থেকেই কমিশনের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি। শুধু তাই নয়, তাঁকে খুঁজে না পাওয়ার দায় কমিশনের উপরেই চাপালেন বীরভূমের বেতাজ বাদশা।
তিনি বলেন, "এই ঘটনায় আমার দোষ কোথায়? এটা তো যাঁরা আমাকে খুঁজে পায়নি, তাঁদের দোষ। আমি কী করব? আমি তারাপীঠে পুজো দিয়ে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলাম। শেষপর্যন্ত জেলাশাসক ফোন করলেন। আমি বললাম কোথায় আপনার লোক? উনি বললেন, যাচ্ছে যাচ্ছে। একটু দাঁড়ান। আমি যদি চলে যেতাম তাহলে আমাকে ধরতেই পারত না। আমিই অপেক্ষা করলাম।"
শুধু তাই নয়, কমিশন লড়ঝড়ে গাড়ি এনেছিল বলেও তোপ দাগেন তিনি।
তবে ভোটের দিন খেলা হবে বলে হুঁশিয়ারি অনুব্রত মন্ডলের। তাঁর দাবি, ফাইন খেলা হবে...! এর সঙ্গেই অনুব্রত যোগ করে বলেন, ২ তারিখ পর্যন্ত ওদের দিন। তারপর আমিও থাকব।'
অন্যদিকে জেলা পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে এদিন তোপ দাগেন অনুব্রত মন্ডল। পুলিশ বিজেপির হয়ে কাজ হচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁর।
একই সঙ্গে কমিশনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, "অভিযোগ দেওয়া সত্ত্বেও বিজেপিকে ডাকছে না তারা। কমিশন একটি দলের কাজ করছে। আমাদের দলের ছেলেদের থানায় বসিয়ে রাখছে।" ইচ্ছাকৃত ভাবে তৃণমূলের ছেলেদের বিরুদ্ধে পুলিশ কেস দিচ্ছে বলেও অভিযোগ তাঁর।
অন্যদিকে রাত হতেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে বীরভূমে।
জানা যাচ্ছে, বীরভূমের বহু জায়গাতে বোমাবাজির খবর সামনে আসছে। জানা যাচ্ছে, স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার বাড়িতে ব্যাপক বোমাবাজি করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
অভিযোগের তির স্থানীয় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে। যদিও এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই বলেই দাবি। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং পুলিশের আধিকারিকরা।