ভোটের মুখে বড় ধাক্কা অনুব্রতের, দল ছেড়ে নির্দলে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত আলি মোর্তাজা খানের
দুটি দফার নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। এখনও বেশ কয়েকট দফার নির্বাচন বাকি রয়েছে। কিন্তু এর মধ্যেও লাগাতার শাসকদল তৃণমূলে ভাঙন ধরাচ্ছে বিজেপি। জেলার বিভিন্ন জায়গায় ভাঙন ধরছে।
দুটি দফার নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। এখনও বেশ কয়েকট দফার নির্বাচন বাকি রয়েছে। কিন্তু এর মধ্যেও লাগাতার শাসকদল তৃণমূলে ভাঙন ধরাচ্ছে বিজেপি। জেলার বিভিন্ন জায়গায় ভাঙন ধরছে।
যা ভোট চলাকালীন শাসকদলের সংগঠনে বড়সড় ধাক্কা বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও তৃণমূলে ভাঙন ধরিয়ে কোনও লাভ হবে না বলেই দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের। উন্নয়নের নিরিখে মানুষ তৃণমূলের পাশে আছে। সুতরাং টাকা দিয়ে ভোট কেনা যাবে না বলে দাবি শাসকদল তৃণমূলের।
দল ছাড়লেন আলি মোর্তাজা খান
কেষ্টাগড় বীরভূমে সামনেই ভোট। আর সেই ভোটের আগেই দল ছাড়লেন আলি মোর্তাজা খান। অনুগামীদের সঙ্গে বৈঠক করে দল ছাড়লেন আলি মোর্তাজা খান। তৃণমূলের বিপরীতে নির্দল হয়ে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত তাঁর। ভোটের মুখে আলি মোর্তাজা খানের সিদ্ধান্তে শাসকদল তৃণমূলের উপর চাপ বাড়ছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
কিন্তু কেন ক্ষোভ?
করোনায় আক্রান্ত হয়ে তৃণমূলের প্রার্থীপদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন মুরারইয়ের আবদুর রহমান। তাঁর জায়গায় কে প্রার্থী হবেন তা নিয়ে জল্পনা চলছিল। অনুমান করা হচ্ছিল, সম্ভবত প্রার্থী হতে পারেন বীরভূমের জেলা সহ-সভাপতি আলি মোর্তাজা খান। কিন্তু শনিবার মোর্তাজার বদলে প্রার্থী মোশারফ হোসেনকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে হাইকমান্ড। তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত সামনে আসতেই প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আলি মোর্তাজা খান। এরপরেই অনুগামীদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক। আর সেই বৈঠকের পরেই দল ছাড়ানোর সিদ্ধান্ত। জানিয়ে দিয়েছেন, ঘাসফুলের প্রতীক ছেড়ে এ বার নির্দল প্রার্থী হয়ে লড়বেন।
আমাদের কর্মী সমর্থকরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন
আলি মোর্তাজা খান জানিয়েছেন, "ভেবেছিলাম নতুন প্রার্থী তালিকায় আমার নাম থাকবে। পরে দেখা গেল ড. মোশারফ হোসেনকে প্রার্থী করা হয়েছে। এতেই আমাদের কর্মী সমর্থকরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। সকলের মতামত নিয়ে নির্দল হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামী ৭ এপ্রিল মনোনয়ন জমা দেব।"
নির্দল হয়ে দাঁড়ালে বড় ধাক্কা লাগতে পারে তৃণমূলে
আলি মোর্তাজা দক্ষ সংগঠক ও জেলার 'হেভিওয়েট' নেতা। মোর্তাজার সিদ্ধান্তে তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্কে বড় আঘাত আসতে পারে। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিকমহল। এমনকি, তিনি যদি নির্দলে দাঁড়ান তাহলে ভোট কাটাকাটিতে বিজেপি সুবিধা পেতে পারেন বলে দাবি তৃণমূলের একাংশে। ফলে ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসতে চলেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।