মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মাত্র কাজ, তারাপীঠ থেকে গ্রেফতার বগটুই কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত আনারুল হোসেন
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মাত্র কাজ, তারাপীঠ থেকে গ্রেফতার বগটুই কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত আনারুল হোসেন
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মাত্র কাজ। ২ ঘণ্টার মধ্যে তারাপীঠ থেকে গ্রেফতার করা হল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা এবং রামপুরহাট ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেন। বগটুই ঘটনার মূল অভিযুক্ত তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই রামপুরহাটের ১ নম্বর ব্লক সভাপতির বাড়ি ঘিরে ফেলেছিল পুলিশ। কিন্তু সেখানে পাওয়া যানি আনারুলকে। ১ ঘণ্টা তল্লাশি চালানোর পর তারাপীঠে তাঁর সন্ধান মেলে।
গ্রেফতার আনারুল
রামপুরহাটের বগটুই কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত আনারুল হোসেনকে শেষে গ্রেফতার করল পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রী বগটুই গ্রামে দাঁড়িয়ে পুলিশকে কড়া নির্দেশ দিয়েছিসেন, আনারুলকে গ্রেফতার করতেই হবে। ওর কাছে পুলিশের সাহায্য চেয়েছিল ভাদু শেখ। ও সঠিক সময়ে পুলিশ পাঠানে এই ঘটনা ঘটত না। আনারুলকে যেভাবেই হোক গ্রেফতার করতে হবে কড়া নির্দেশ িদয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তার ২ ঘণ্টার মধ্যেই বীরভূমের তারাপীঠের একটি হোটেলের কাছে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। মুখ্যমন্ত্রীর বাগটুই সফরের সময় মোবাইল অন করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। সেই মোবাইল টাওয়ার লোকেট করেই আনারুলের সন্ধান মেেল।
আনারুলের বাড়িতে পুলিশ
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই রামপুরহাটে আনারুলের বাড়ি ঘিরে ফেলেছিল পুলিশ। সেখানে প্রায় ১ ঘণ্টা তল্লাশি চালানো হয়। কিন্তু তার কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। আনারুলের অনুগামী ছিলেন ভাদু শেখ। পুলিশ আনারুলের বাড়িতে পৌঁছনোর পর আনারুলের অনুগামীরা হাজির হয়েছিলেন তাঁরা। আনারুলের অনুগামীরা দাবি করেছেন অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে গন্ডগোলের কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। এতে আনারুলের কোনও হাত নেই। আনারুলকে গ্রেফতার করতে এলে তাঁরা রুখে দাঁড়াবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন।
বগটুই কাণ্ডে বাড়ল ধৃতের সংখ্যা
আনারুলের গ্রেফতারের পর বাগটুই কাণ্ডে গ্রেফতারের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২২। আজ সকালেই একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই আনারুলকে ফোন করেছিল পুলিশ। তাঁকে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছে তিনি যেন আত্মসমর্পণ করেন। তারপরেই আনারুলের মোবাইল টাওয়ার লোকেট করে গ্রেফতার করা হয়। ভাদু শেখের মৃত্যুর পরেই তাঁর অনুগামীরা বগটুই গ্রামে হামলা চালায় বলে অভিযোগ।
অনুগামীদের বিক্ষোভ
আনারুলের অনুগমীরা দাবি করেছেন মিথ্যে অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে তাঁদের নেতােক। অনুব্রত মণ্ডল তাঁকে ফাঁসিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা। এদিকে আজ বগটুইয়ে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে পাশে নিয়ে মু্খ্যমন্ত্রী আনারুলকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। সেই সূচপুরের মত মামলা সাজানোর নির্দেশ দিয়েছেন। যাতে কোনও ভাবেই দোষীরা ছাড়া না পায় সেকথা মাথায় রেখে পুলিশকে মামলা সাজানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে কড়া বার্তা দিয়েছেন পুলিশকেও।