অভিষেকের কনভয়ে কুর্মিদের হামলা! ইটের আঘাতে ভাঙল বীরবাহা হাঁসদার গাড়ির কাচও
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কনভয়ে হামলা চালালেন কুর্মিরা। কুর্মিদের ছোড়া ইটের আঘাতে ভাঙল মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়ির কাচও। শুক্রবার এই ঘটনা ঘটে শালবনিতে। ঝাড়গ্রামের শালবনিতে অভিষেকের কনভয় ঢুকতেই কর্মীরা ইটবৃষ্টি শুরু করে। তখনই ঘটে বিপত্তি। ইট লাগে মন্ত্রীর গাড়ির কাচে।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নবজোয়ার কর্মসূচিতে যোগ দিতে ঝাড়গ্রামের শালবনিতে যাচ্ছিলেন। তাঁর কনভয় শালবনিতে ঢুকতেই কুর্মিরা হামলা চালায়। সেই কনভয়েরই একটি গাড়িতে ছিলেন বীরবাহা হাঁসদা। তাঁর গাড়িতে কুর্মিদের ছোড়া ইটে এসে লাগে। গাড়ির কাচ ভেঙে যায়।
রাজ্যের মন্ত্রীর গাড়ি ইটের আঘাতে ভাঙার অভিযোগ কুর্মিদের বিরুদ্ধে উঠতেই তৎপর হয়ে উঠেছে প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন ঘটনা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিয়ে। এই ঘটনার পর মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বলেন, আমি নিজেও আদিবাসী সমাজের মানুষ। কিন্তু এভাবে আন্দোলন হয় নাকি!
বীরবাহা এই ঘটনাকে অসভ্যতা বলে বর্ণা করেন। তিনি বলেন, আমরাও আন্দোলন করেছি, কিন্তু এই ধরনের অসভ্যতা হয়নি সেখানে। নবজোয়ার কর্মসূচি শেষ করে লোধাশুনি থেকে কনভয় শালবনির উদ্দেশে যাচ্ছিল যখন, তখনই ঘটনাটি ঘটে। ৫ নম্বর রাজ্য সড়কের ধারে বিক্ষোভরত কুর্মি সম্প্রদায়ের আন্দোলনকারীরা এই ঘটনা ঘটায়।
তাঁরা তৃণমূল সেকেন্ড ইন কম্যান্ড তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে চোর চোর বলে স্লোগান দেন। এরপর কনভয়ের শেষে থাকা বীরবাহার গাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়। সেই ইটের আঘাতে বীরবাহার গাড়ির সামনের কাচ ভেঙে যায়। তৃণমূলের আরো অভিযোগ, তাদের দলের দলের কর্মীদের বাঁশ, লাঠি দিয়ে মারা হয়েছে।
কুর্মিদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলে সিপিএম ও বিজেপিকে দায়ী করেছেন বীরবাহা। তাঁর কথায়, কুর্মিদের আন্দোলনের বিরোধিতা তিনি করেননি বা তাঁর দল তৃণমূলও তা করেনি। তা হলে কেন এই হামলার ঘটনা ঘটানো হল। এটা কোনো জাতিগত আন্দোলন হতে পারে না। এর নেপথ্যে রয়েছে সিপিএম আর বিজেপি। কুর্মিদের উসকে দিয়ে তারা উত্তপ্ত করছে এলাকা।
ওবিসি শ্রেণিভুক্ত কুর্মি সম্প্রদায় তফশিলি জাতির স্বীকৃতি আদায়ের জন্য এই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। পঞ্চায়েত ভোটের মুখে কুর্মিদের এই আন্দোলনে পারদ চড়েছে। রাজনৈতিক দলগুলির বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিচ্ছেন কুর্মি সম্প্রদায়ের আন্দোলনকারীরা। লালগড়ের ধরমপুরে দলীয় কর্মসূচিতে যাওয়ার পথে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি দিলীপ ঘোষও বিক্ষোভের মুখে পড়েন।