অনুব্রত না থাকলেও পঞ্চায়েতে বড় ‘খেলা হবে’ বীরভূমে, মিঠুনের পাল্টা যাচ্ছেন অভিষেক
অনুব্রত না থাকলেও পঞ্চায়েতে বড় ‘খেলা হবে’ বীরভূমে, মিঠুনের পাল্টা যাচ্ছেন অভিষেক
পঞ্চায়েতকে পাখির চোখ করে অনুব্রতহীন বীরভূম জেলায় জাল বিছিয়ে রাখছে তৃণমূল। বিজেপি এই জেলার সংগঠনে অগ্রাধিকার দিয়েছে। বিজেপির জাতীয় কোর কমিটির সদস্য মিঠুন চক্রবর্তীকে এনে জনসংযোগ করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলও কিন্তু বীরভূমকে নিয়ে ভাবছে। আগামী ২ ডিসেম্বের অনুব্রতহীন বীরভূমে বড় খেলা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে তৃণমূল।
ইতিমধ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জেলা নেতাদের সঙ্গে সাংগঠনিক বৈঠক সেরেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুব্রতহীন বীরভূমে বিধায়ক থেকে শুরু করে সাসংদ-সহ জনপ্রতিনিধিদের দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে সমন্বয় রেখে চলার বার্তা দিয়েছেন তিনি। সেইসঙ্গে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি কীভাবে নিতে হবে।
বিজেপি বীরভূমে মিঠুন চক্রবর্তীকে সামনে রেখে কর্মী-সম্মেলন করছেন এদিনই। আর তৃণমূল আগামী ২ ডিসেম্বর বীরভূমে সভা করতে চলেছেন। বীরভূমের মল্লারপুরে সেই সভায় শক্তি প্রদর্শন করতে চাইছে তৃণমূল। অনুব্রতহীন বীরভূম জেলায় বিশাল সমাবেশ করে তৃণমূল দেখাবে, অনুব্রত মণ্ডল জেলে থাকলেও তাঁদের সংগঠনে তার কোনও প্রভাব পড়েনি।
গত ২৫ নভেম্বর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তার ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে দলের বীরভূম জেলা নেতৃত্বকে নিয়ে বসেছিলেন বৈঠকে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বীরভূমের ১০ বিধায়ক। ছিলেন সাংসদরা। জেলা সংগঠনের নেতারা তো ছিলেনই। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন, অথচ অনুব্রত মণ্ডল নেই। কীভাবে চলবে দল, তার রূপরেখা করে দিয়ে দলের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়েছেন অভিষেক।
অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতারির পর দুই সাংসদ ও বিধায়কদের নিয়ে কোর কমিটি গড়েছে তৃণমূল। তাঁদের উপরই জেলায় দলের দায়িত্ব। অর্থাৎ অনুব্রত মণ্ডলের পরিবর্তে কোনও জেলা সভাপতি বেছে নেওয়া হচ্ছে না এখনই। এই মর্মে দু-দফা আলোচনার পর আপাতত এই সিদ্ধান্তে অনড় থেকেছে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব।
অভিষেকের সঙ্গে বৈঠকে স্থির হয়েছে জেলায় সংগঠনকে মজবুত করতে কী কী করণীয়। তা নিয়েই মূলত আলোচনা। বীরভূমে ভোট হয় না বলে অভিযোগ করে এসেছে বিরোধীরা। এবার সেই অভিযোগের জবাব দিতে বিজেপিকে গোহারা হারাতে চায় তৃণমূল। অনুব্রত মণ্ডল না থাকলেও জেলায় যে তৃণমূলের ভোটে কোনও সমস্যা হবে না, তাও বুঝিয়ে দেওয়া দরকরা বলে মনে করে নেতৃত্ব। এবার তাই শান্তিতে ভোটপর্ব মেটানোর কথা জানিয়েছেন অভিষেক।
বিরোধীদের পাতা ফাঁদে যাতে কোনও তৃণমূল নেতা না পা দেন, তা বারবার সাবধান করে দিয়েছেন অভিষেক। তিনি জানান অনেক প্ররোচনা, অনেক উসকানি আসবে, তা থেকে দূরে থাকতে হবে। কোনওভাবেই জেলায় যাতে আশান্তির পরিবেশ তৈরি না হয় তা দেখতে হবে। সাফ জানানো হয়েছে, কে বড়ে আর কে ছোটো ভাবলে হবে না। সবাইকে সমন্বয় করে চলতে হবে।
থানাগুলি পার্টি অফিসে পরিণত হয়েছে, পুলিশকে বেনজির আক্রমণ শুভেন্দু অধিকারীর