শান্তিনিকেতন কাণ্ডে ধৃত ৪, মোবাইল টাওয়ার লোকেট করে পাড়ুই থেকে গ্রেফতার
শান্তিনিকেতন কাণ্ডে ধৃত ৪, মোবাইল টাওয়ার লোকেট করে পাড়ুই থেকে গ্রেফতার
শান্তিনিকেতন কাণ্ডে ৪ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মোবাইল টাওয়ার লোকেট করে ৪ জনকে পাড়ুই থেকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের মধ্যে ২ জন নাবালক। তবে এখনও অধরা মূল অভিষুক্ত। ধৃতদের মধ্যে ২ জন মূল অভিযুক্তের সঙ্গী বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।
শান্তিনিকেতনে মেলা থেকে ফেরার পথে তুলে নিয়ে গিয়ে নাবালিকাকে গণধর্ষণের ঘটনায় অবশেষে পাঁচদিন পর চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। গতকাল রাতে মোবাইল টাওয়ার লোকেট করে ২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা ২ জনই নাবালক। মূল অভিযুক্তের সঙ্গী ছিল এই দুই অভিযুক্ত এমনই জানিয়েছে পুলিশ। সোমবার আরও ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাড়ুই এলাকা থেকে ২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বীরভূমের পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, নাবালিকার বয়ানের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের স্কেচ আঁকানো হয়েছিল। সেই স্কেচ দেখেই ভিত্তিতেই গতকাল রাতে প্রথমে পাড়ুই থেকে গ্রেফতার করা হয় সুনীল সোরেন ও লক্ষ্মীরাম সোরেনকে।
এদিকে এই ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা। হাঁসখালি, বোলপুর তার পরে শান্তিনিকেতনে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। রাজ্যে পর পর এই ধরনের ঘটনার পর নারী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর শাসনে কীভাবে নারীরা রাজ্যে অসুরক্ষিত হতে পারেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। টিএমসি সাংসদ সৌগত রায়ও প্রকাশ্য জনসভায় বলেছেন মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর শাসনে এই ধরনের ঘটনা একেবারেই ঘটনা উচিত নয়। তাই নিয়ে শাসক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল।
এদিকে এখনও পর্যন্ত অধরা এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত। তাঁর সন্ধানে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, মূল অভিযুক্তের সন্ধানে বীরভূম এবং সংলগ্ন জেলা গুলিতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। বাইরের রাজ্যে কোথাও পালিয়ে গিয়েছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে বিজেপি মহিলা মোর্চার সদস্যরা নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছে। তাঁরা নির্যাতিতার পরিবারের সুরক্ষা দাবি করেছেন। যেকোনও মুহূর্তে তাঁদের উপরে হামলা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তাঁরা।
রাজ্য মহিলা কমিশনের পক্ষ থেকেও নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করা হয়েছে। বোলপুরে সার্কিট হাউসে রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ার পার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে কথা বলেন। বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে পুিলশের চাপে বারবার বয়ান বদল করছেন নির্যাতিতার পরিবার। পুলিশ পুরো ঘটনা ধামা চাপা দিতে চাইছে বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা। ঘটনার সিবিআই তদন্ত দাবি করেছে বিজেপি।