মতুয়া গড়ে বিজেপির চ্যালেঞ্জ উপেক্ষা, বড় ব্যবধানে পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন তৃণমূলের
মতুয়া গড়ে বিজেপির চ্যালেঞ্জ উপেক্ষা, বড় ব্যবধানে পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন তৃণমূলের
দিন যত বিধানসভা নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে রাজ্য জুড়ে রাজনৈতিক লড়াই ততই তীব্র হচ্ছে। সেই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক উত্তাপ পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনকে ঘিরেও। বিজেপির (bjp) যাবতীয় চ্যালেঞ্জকে উপেক্ষা করে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর চৌবেড়িয়ায় পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস (trinamool congress)।
পঞ্চায়েত প্রধানের পদত্যাগের জেরে ভোটাভুটি
১৮ জানুয়ারি তৃণমূল শাসিত পঞ্চায়েতের প্রধান বনানী নন্দিনী ব্যক্তিগত কারণে চৌবেড়িয়া-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দেন। ফলবে সেখানে পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের জন্য ভোটাভুটি প্রয়োজন হয়ে পড়ে।
৯-০-তে জয় তৃণমূলের
ওপেন ব্যালটে ভোট হয়। তাতে তৃণমূল ৯-০-তে জয়ী হয়। তৃণমূলের তপন হাজরা পঞ্চায়েত প্রধান নির্বাচিত হন। বিজেপি ভোটদানে অংশ না নিলেও বোর্ড গঠন করা হয় চৌবেড়িয়া-১ গ্রাম পঞ্চায়েতে। প্রিসাইডিং অফিসার জানিয়েছেন, নিয়ম মেনেই ভোট নেওয়া হয়েছে। এব্যাপারে কোনও আপত্তি থাকলে অভিযোগকারীরা উচ্চতর কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাতে পারে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
ভোট দানে বিরত বিজেপি
ভোটাভুটি
হাজিরা
খাতায়
সই
করেছিলেন
বিজেপির
চার
পঞ্চায়েত
সদস্য।
কিন্তু
তাঁরা
ভোটাভুটিতে
অংশ
না
নিয়ে
বেরিয়ে
আসেন।
বিজেপির
তরফে
বলা
হয়েছে,
বোর্ড
গঠন
নিয়ে
তাদের
দাবিকে
মর্যাদা
দেয়নি
প্রশাসন।
বিজেপির
পঞ্চায়েত
সদস্য
অরুণ
বিশ্বাস
জানিয়েছেন,
তাঁরা
গোপন
ব্যালটে
ভোটের
দাবি
করেছিলেন।
তাতেই
ক্ষমতার
বদল
হত।
কিন্তু
সেই
দাবি
রাখেনি
প্রশাসন।
ওপেন
ব্যালটে
ভোট
হওয়ায়
তাঁরা
ভোটাভুটিতে
অংশ
নেননি
বলেই
সংবাদমাধ্যমকে
জানিয়েছেন
বিজেপির
চার
সদস্য।
বিজেপির
তরফ
থেকে
বলা
হয়ে
এসডিও
অফিসে
তাঁদের
আপত্তির
কথা
জানাতে
বলা
হয়েছে।
পাশাপাশি
বিষয়টি
নিয়ে
নিজেদের
দলের
শীর্ষ
নেতৃত্বকেও
জানাবেন।
তৃণমূলের কটাক্ষ
বিজেপির অবস্থান নিয়ে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ভোটাভুটিতে প্রধান নির্বাচিত হওয়া তপ হাজরা বলেছেন হেরে যাওয়ার ভয়েই ভোট বয়কট করে বিজেপি। বিজেপি টাকা দিয়ে পঞ্চায়েত সদস্য কেনার চেষ্টা করেছিল বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তাঁর দাবি নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী ওপেন ব্যালটে ভোট করিয়েছে প্রশাসন।
পাশের পঞ্চায়েতে দুর্নীতিতে অভিযুক্ত বিজেপি
পাশেই রয়েছে চৌবেড়িয়া ২ পঞ্চায়েত। তা রয়েছে বিজেপির দখলে। কয়েক মাস আগে এই পঞ্চায়েতে বিজেপি প্রধানের বিরুদ্ধে একশো দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগে সরব হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কাজ না হওয়া সত্ত্বেও ৯ লক্ষ টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধানের পাল্টা দাবি করেছিলেন কোনও দুর্নীতিই সেখানে হয়নি। পুরোটাই তৃণমূলের চক্রান্ত বলে দাবি করেছিলেন তিনি।
বাংলার কৃষকদের সঙ্গে বঞ্চনা করা হয়েছে, মাটি উৎসব উদ্বোধনে গিয়ে মোদী সরকারকে নিশানা মমতার