শুধু দীপক হালদারই নন, বারুইপুরে শুভেন্দু-মুকুলের সভায় দলবদলে থাকছে আরও চমক
শুধু দীপক হালদারই নন, বারুইপুরে শুভেন্দু-মুকুলের সভায় দলবদলে থাকছে আরও চমক
শুধু ডায়মন্ড হারবারের বিধায়ক দীপক হালদারই (dipak halder) নন, বারুইপুরে শুভেন্দু অধিকারী (suvendu adhikari) , রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (rajib banerjee), মুকুল রায়দের (mukul roy) সভায় দলবদলে আরও চমক অপেক্ষা করছে। ইতিমধ্যেই এব্যাপারে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন, রাজপুর-সোনারপুর পুরসভায় বিদায়ী সিআইসি অমিতাভ বসু চৌধুরী(amitava basu chowdhury)।
বিজেপির পতাকা ছিঁড়ে ফেলা হল খালে! শুভেন্দুর সভার আগে উত্তেজনা বারুইপুরে
তৃণমূল ফাঁকা করার হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর
রবিবার হাওড়ার ডুমুরজলার সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল যেসব জেলায় ভাল ফল করেছিল তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, কলকাতা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা। তিনি সমবেত জনগণের উদ্দেশে বলেন, তিনি (শুভেন্দু) ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সঙ্গীসাথীদের নিয়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে কারও মনে প্রশ্ন থাকার কথা নয়, পূর্ব মেদিনীপুর ও হাওড়া জেলার তৃণমূলের পরিস্থিতি নিয়ে। পাশাপাশি তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন ২ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কলকাতা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা তৃণমূলও ফাঁকা করে দেওয়া হবে।
বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন দীপক হালদার
শুভেন্দু অধিকারী হুঁশিয়ারি দেওয়ার পর থেকেই ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল বিধায়ক দীপক হালদারকে নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়। কেননা পরপর দুইবারের বিধায়ক অভিযোগ করেছিলেন গত সাড়ে চারবছর ধরে তাঁর মর্যাদাহানি করা হয়েছে। দলে হেয় করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠান ছাড়া এলাকার কোনও রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক কর্মসূচিতে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলেও অভিযোগ করেছিলেন তিনি। তাঁর মূলত অভিযোগ যুব তৃণমূলের বিরুদ্ধে, যার সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এলাকায় তাঁকে কাজ করতে না দিয়ে যুব তৃণমূলকে দিয়ে যাবতীয় কাজ করানো হত বলেও অভিযোগ করেছিলেন ওই বিধায়ক। এহেন দীপক হালদার জানিয়েছেন, তিনি মঙ্গলবার মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারীদের উপস্থিতিতে বারুইপুরের সভায় বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন।
বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন সোনারপুর-রাজপুর পুরসভার বিদায়ী সিআইসি
এদিন বারুইপুরে বিজেপির সভায় যোগ দিচ্ছেন সোনারপুর-রাজপুর পুরসভার বিদায়ী সিআইসি অমিতাভ বসু চৌধুরী। তিনি ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন। একটা সময়ে সোমেন মিত্রের হাত ধরে কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগ দিলেও, মুকুল রায়ের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল ভালই। নিজের অবস্থান জানিয়ে সোমবার রাতে তিনি একটি ফেসবুক পোস্ট করেন। সেখানে তিনি লেখেন, অনেক দিধা জড়তা কাটিয়ে ক্ষত বিক্ষত হৃদয়ের ডাকে সারা দিয়ে অপমান অবহেলিত জীবনের অতীত কে সরিয়ে রেখে আগামী সকালে নতুন সামাজিক রাজনৈতিক জীবন শুরু করবেন।
ক্ষোভ কমাতে ব্যর্থ হয়েছে পিকের টিমও
সূত্রের খবর অনুযায়ী অমিতাভ বসু চৌধুরীর ক্ষোভ শুধু সোমবারের নয়। গতবছর থেকেই তিনি ক্ষোভপ্রকাশ করে আসছেন বিভিন্ন মহলে। মূলক, সোনারপুরের দুই বিধায়ক জীবন মুখোপাধ্যায় এবং ফিরদৌসি বেগমের বিরুদ্ধে ক্ষোভ রয়েছে তাঁর। এছাড়াও দলের জেলা সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তীর প্রতি অভিমান রয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, তাঁকে শুভাশিস চক্রবর্তী ফোন করেছিলেন। পিকের টিমও তাঁর সঙ্গে কথা বলেছিল। কিন্তু তৃণমূলের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে তিনি এদিন বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন।