শুটআউটের সময় কাউন্সিলরকে ঘিরে রেখেছিল একাধিক দুষ্কৃতী, পানিহাটি কাণ্ডে গ্রেফতার আরও ২
শুটআউটের সময় কাউন্সিলরকে ঘিরে রেখেছিল একাধিক দুষ্কৃতী, পানিহাটি কাণ্ডে গ্রেফতার আরও ২
পানিহাটিতে কাউন্সিলর খুনের ঘটনায় আরও ২ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। আগেই এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শম্ভুনাথকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তাঁকে জেরা করে ৩ জনকে আটক করা হয়। আটক তিন জনের মধ্যে আবার ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তৃণমূল কাউন্সিলর খুনের ঘটনা ক্রমশ প্রকাশ্যে আসছে একাধিক চাঞ্চল্য কর তথ্য। ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে ঘটনার দিন একা শম্ভুনাথ নয় কাউন্সিলর অনুপম দত্তকে ঘিরে ছিলেন একাধিক আততায়ী।
গ্রেফতার আরও ২
পানিহাটির ঘটনায় আরও ২ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মঙ্গলবার ভোরে খড়দা থানার পুলিশ ২ জনকে গ্রেফতার করে। তাদের নাম সুজিত পণ্ডিত এবং প্রসেনজিৎ পণ্ডিত। শ্যুট আউট কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত শম্ভুনাথ পণ্ডিতকে জেরা করেই এই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের ব্যারাকপুর আদালতে পেশ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ তাঁদের জেরা করে জানতে পেরেছে ঘটনার দিন কাউন্সিলরের আশপাশেই তারা ছিল।
পরিকল্পনা করে ঠান্ডা মাথায় খুন
পানিহাটিকে তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্তকে খুন করা হয়েছিল পরিকল্পনা করে। কারণ সেসময় শম্ভুনাথ পণ্ডিত গুলি চালালেও কাউন্সিলরকে ঘিরে ছিলেন বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতি। তাঁরা ঘটনাস্থলের আশপাশেই ঘোরা ফেরা করছিলেন। অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় শম্ভুনাথ পণ্ডিত খুন করেন কাউন্সিলরকে একেবারে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করা হয়েছিল কাউন্সিলরকে। সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু। অর্থাৎ পরিকল্পনা এমন ভাবে করা হয়েছিল যাতে কোনও ভাবে বেঁচে ফিরতে না পারেন অনুপম দত্ত। ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শম্ভুনাথ পণ্ডিতকে গ্রেফতার করা হয়। আগরপাড়ার কাছে হোগলা বনে লুকিয়ে ছিল সে। স্থানীয়রাই তাঁকে খুঁজে বের করে দেয়। আততায়ীকে ধরতে হোগলা বনে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল স্থানীয়রা। তারাই একটি সিমকার্ড হীন মোবাইল তুলে দেয় আততায়ীর হাতে।
হাইকোর্টের মামলার আর্জি
একই দিনে রাজ্যের দুই জায়গায় খুন হয়েছেন তৃণমূল কাউন্সিলর। একজনকে খুন করা হয়েছে পানিহাটিতে। আর দ্বিতীয় জন খুন হয়েছেন ঝালদায়। এই দুটি ঘটনাই উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে দাবি করে আদালতে স্বতোঃ প্রণোদিত মামলা দায়েরের আর্জি জানানো হয়েছে। আইনজীবী রবিশঙ্কর চট্টোপাধ্যায় বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাসে গিয়ে স্বতোঃপ্রণোদিত মামলা দায়েরের আর্জি জানিয়ে এসেছেন। বিচারপতি বিধি মেনে মামলা দয়ের করতে বলেছেন। তখন এজলাসে মামলা উঠলে তিনি তাঁর শুনানি করবেন বলে জানিয়েছেন।
হুঁশিয়ারি মমতার
একই দিনে দুই জায়গায় পর পর দলীয় কাউন্সিলর খুনের ঘটনার তীহ্র নিন্দা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি রীতি মতো হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন এর শেষ দেখে ছাড়বেন। পুলিশকে কড়া পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। কারা ষড়যন্ত্র করে অনুপম দ্ত এবং তপন কান্দুকে খুন করল তা খুঁজে বের করে চরম শাস্তি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন িতনি।