দিদির দূত কর্মসূচিতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে সুজিত বসু, দমকলমন্ত্রীর সামনেই হাতাহাতিতে জড়ালেন তৃণমূল নেতা
দিদির দূত কর্মসূচিতে গিয়ে চাপে পড়লেন খোদ মন্ত্রী। দমকলমন্ত্রীর সামনেই বিক্ষোভ শুরু দেগঙ্গায়। বিক্ষোভ গড়াল হাতাহাতি-মারামারিতে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ডাকতে হল পুলিশ। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য বাগবুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অভিযোগ করতে থাকেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাই নিয়ে শুরু হয় বচসা। মন্ত্রীর সামনেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন বাগবুল ইসলাম।
দিদির-দূত কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে জেলায় জেলায় মানুষের কাছে যাচ্ছেন শাসক দলের মন্ত্রী-বিধায়ক এমনকী সাংসদরাও। একাধিক জেলায় তাঁদের সাধারণ মানুষের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে। বৃহস্পতিবারও একাধিক জেলায় বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে দিদির দূত কর্মসূচিতে যাওয়া মন্ত্রী বিধায়কদের। এদিন দেগঙ্গায় দিদির দূত কর্মসূচির সূচনা করতে গিয়েছিলেন রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার এই মন্ত্রী দলনেত্রীর ঘনিষ্ঠ। তার সামনেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
দেগঙ্গায় দিদির দূত কর্মসূচির সূচনা করতে গিয়েছিলেন সুজিত বসু। সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরাও। বিক্ষোভ শুরু হতেই স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য বাগবুল ইসলাম বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে। মন্ত্রীর সামনেই বাগবুলের বিরুদ্ধে তালিকা পরিবর্তনের অভিযোগ করেন স্থানীয়রাষ শেষ পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গত কয়েকদিন ধরেই জেলায় জেলায় এভাবে বিক্ষোভ চলছে। কয়েকদিন আগে বীরভূমে বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন সাংসদ শতাব্দী রায়। আবার বাঁকুড়াতেও বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল সায়ন্তিকাকে। অভিষেকের কেন্দ্র ডায়মন্ডহারবারেও বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল বিধায়কককে।
তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার এই কর্মসূচির ঘোষণা করার সময় দলের নেতা-মন্ত্রী এবং বিধায়কদের শান্ত থেকে মানুষের অভাব অভিযোগ শোনার নির্দেশ দিয়েছিলেন। যেযতই বিক্ষোভ দেখাক না কেন সকলের অভিযোগ শান্ত হয়ে শুনতে হবে। মেজাজ হারানো যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি।