
জগদ্দলে প্রকাশ্যে শ্রমিককে গুলি! অর্জুনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক স্থানীয় তৃণমূল নেতাই
নতুন করে ফের উত্তেজনা জগদ্দলে! শ্রমিককে প্রকাশ্যে গুলি করে খুন। ওই শ্রমিক স্থানীয় এক জুটমিলে কর্মরত ছিলেন। আর এরপর নতুন করে উত্তেজনা সেখানে। ঘটনার ২৪ ঘন্টা পর আজ শনিবার সকাল থেকে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। একের পর এক বাড়িতে ভাঙচুরের অভিযোগ।

এমনকি বেশ কয়েকটি গাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা। যদিও ঘটনার পরেই বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রত্যেকদিনই কার্যত কিছু না কিছু গন্ডোগল চলছে বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে। আর তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজা। আর এই বিতর্কের মধ্যেই কার্যত বোমা ফাটালেন স্থানীয় এক বিজেপি নেতা। তাঁর দাবি, ২০২০ সালে'র ১৫ জুলাই অর্জুন সিংয়ের নেতৃত্বেই গুলি চলে। শুধু তাই নয়, আর ওই নির্দেশ মতো ধর্মেন্দ্রর উপর গুলি চালায় গণেশ সাউ। বলে রাখা প্রয়োজন, শুক্রবার গন্ডোগলের মধ্যে গণেশই হামলা চালায় ওই জুটমিল শ্রমিকের উপর।
তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক ধর্মেন্দ্র সিংয়ের এহেন মন্তব্য ঘিরেই শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক বিতর্ক। যদিও এহেন অভিযোগের পরিপেক্ষিতে কোনও মন্তব্য করেননি বারাকপুরের বিজেপি সাংসদ। যদিও লাগাতার অশাঞ্জতি প্রসঙ্গে তাঁর দাবি, পুলিশকে আরও কঠোর হতে হবে। এমনকি দুস্কৃতীদের ধরতে হবে বলেও দাবি অর্জুন সিংয়ের।
তবে শুক্রবারের ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতার দাবি, দুস্কৃতী লড়াইয়ের ফলেই এই ঘটনা। যদিও জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম ঘটনার পিছনে দুই দুস্কৃতীর লড়াই নেই বলেই জানিয়েছেন। ফলে সাংসদ এবং বিধায়কের পরস্পর বিরোধী মন্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক।
কার্যত গত কয়েকদিন আগেই ভাটপাড়া অঞ্চলের একটি বাড়ি থেকে ব্যাপক বোমা উদ্ধারের ঘটনা ঘটে। এমনকি বোমাবাজি'র ঘটনাও ঘটেছে বলে অভিযোগ। আজ শনিবার সকালেও বোমাবাজি হয়েছে বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যে বারাকপুরের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা। আর এই বিতর্কের মধ্যেই ফের একবার জগদ্দলে খুনে'র ঘটনা। যা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক বিতর্ক।
যদিও ঘটনার পরেই বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এমনকি খোদ বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট পুলিশ কমিশনার ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। অন্যদিকে সিসিটিভিতে ইতিমধ্যে খুনের ঘটনা ধরা পড়েছে। সেই সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে দুষ্কৃতীদের ধরার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় আতঙ্ক। বন্ধ দোকান পাঠ। ঘরবন্দি মানুষও।