তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং
তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে উত্তপ্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের ইটখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের গোলাবাড়ি এলাকা। চলল বোমা ও গুলি। বেশ কয়েকটি দোকান ও বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। ভাঙচুর চালনো হয়েছে যুব তৃণমূলের স্থানীয় কার্যালয়েও। ঘটনায় আহত এক পুলিশ কর্মী সহ মোট পাঁচ জন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। ঘটনাস্থলে বারুইপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ বসুর নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার ক্যানিংয়ে যুব তৃণমূলের ডাকা সভায় যোগ দেওয়ার কারণেই সোমবার গোলাবাড়ি বাজারে যুব তৃণমূল কর্মীরা এলে তাদের উপর হামলা চালানো হয়। বেছে বেছে যুব তৃণমূল কর্মীদের দোকান ভাঙচুর করা হয়। স্থানীয় তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি তথা ইটখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান খতিব সরদারের নেতৃত্বে এই হামলা চালনো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বলে জানা গেছে। পাল্টা অভিযোগ করেছেন তিনি। এদিন সকালে যুব তৃণমূল কর্মীরা এসে তাদের কর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।

ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ। এদিন গোলমালের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। গুলিতে জখম হয়েছেন স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ির আধিকারীক ইন্দ্রজিত ভকত সহ দুই সিভিক ও তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। তাদের মধ্যে কয়েকজন মহিলাও রয়েছেন বলে জানা গেছে। যদিও ঘটনায় গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের কথা অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তৃণমূল নেতাদের দাবি দুষ্কৃতিরা এই তান্ডব চালিয়েছে। কারা কি কারনে এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা জানা যায়নি। তবে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
একুশে মমতার হ্যাটট্রিকের পক্ষেই রায় দিল জনমত সমীক্ষা, কার কত আসন একনজরে