অর্জুনকে নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে তৃণমূল, দলবদলের পর ভাঙন ঠেকাতে বসে নেই বিজেপিও
রহস্যের জাল তৈরি করে শেষমেশ অর্জুন সিং ফিরে গিয়েছেন তৃণমূলে। বিজেপিকে ফেলে দিয়েছে কঠিন বাস্তবের সামনে। বারাকপুরে বিজেপি মানেই হয়ে উঠেছিল অর্জুন। সেই অর্জুন মাইনাসে বিজেপিতে এখন শুরু হয়েছে ভাঙন জল্পনা।
রহস্যের জাল তৈরি করে শেষমেশ অর্জুন সিং ফিরে গিয়েছেন তৃণমূলে। বিজেপিকে ফেলে দিয়েছে কঠিন বাস্তবের সামনে। বারাকপুরে বিজেপি মানেই হয়ে উঠেছিল অর্জুন। সেই অর্জুন মাইনাসে বিজেপিতে এখন শুরু হয়েছে ভাঙন জল্পনা। কেননা বারাকপুরে বিজেপির মাথায় যারা বসে আছেন, তারা সবাই-ই প্রায় অর্জুন-ঘনিষ্ঠ।
এই অবস্থায় তৃণমূল ও বিজেপি উভয়েই নেমে পড়েছেন আসরে। তৃণমূল কংগ্রেস অর্জুন সিকে নিয়ে বৈঠকে বসেছেন। তাঁর দায়িত্ব স্থির করতে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছেন। আর প্রবল ভাঙন আতঙ্কের মাঝে বিজেপিও তৎপর। তারা চাইছেন যে কোনও মূল্যে ভাঙন আটকাতে। বারাকপুরে যাতে তারা একেবারে নিঃশেষ হয়ে না পড়ে, তার চেষ্টায় মরিয়া বিজেপি।
রবিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে গিয়ে তৃণমূলে ফেরেন অর্জুন সিং। তিনি তৃণমূলের উত্তরীয় গলায় নিয়ে বলেন নিজের ঘরে ফিরে এলাম। একইসঙ্গে তিনি বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দেন, ফেসবুকে রাজনীতি হয় না। ঠান্ডা ঘরে বসে সোশ্যাল মিডিয়া দিয়ে রাজনীতিতে বিশ্বাসী নই। মাটিতে থেকে রাজনীতি করেছি। তা থেকে স্থির বিশ্বাস বিজেপিতে রাজনীতি করা যায় না। বিজেপি যে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে সেই হুঙ্কারও ছাড়েন তিনি।
আর এদিন দমদম-বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার বৈঠক করল তৃণমূল। অর্জুনকে নিয়ে সেই বৈঠকে হাজির ছিলেন সৌগত রায় থেকে শুরু করে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, ব্রাত্য বসু, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, সুজিত বসু, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, পার্থ ভৌমিক, তাপস রায়, মদন মিত্ররা। ছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার সমস্ত পুরসভার চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলররা।
এদিকে বিজেপিও বসেছে বৈঠকে। তাদের বৈঠকের উদ্দেশ্য বারাকপুরের সংগঠন বাঁচিয়ে রাখা। তাই তড়িঘড়ি বৈঠকে বসে শুভেন্দু অধিকারীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ঠিক হয়েছে ২৫ মে বারাকপুরে বৈঠক করবেন শুভেন্দু অধিকারী। অর্জুন বিহনে তাঁর উপর গুরু দায়িত্ব। বারাকপুরের সাংগঠনিক পরিস্থিতি অর্জুন চলে যাওার পরে ঠিক কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে তা বোঝাও এই বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল।
বিজেপির এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অদিকারী। দিল্লি থেকে এই বৈঠকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষও। সেখানে বারাকপুরের সাংগঠনিক নেতাদের তলব করা হয়। তাঁদের মতিগতি বোঝার পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। অভিষেকের সমাবেশের আগে শুভেন্দুর সভা করবেন বারাকপুরে।