ক্যানিংয়ের ঘটনা'য় বিস্ফোরক শুভেন্দু, ঘটনায় আতঙ্কিত খোদ শাসকের বিধায়ক
ক্যানিংয়ের ঘটনা'য় বিস্ফোরক শুভেন্দু, তিন কর্মীর খুনের ঘটনায় আতঙ্কিত খোদ শাসকের বিধায়ক
সাত সকালে ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ড বাংলায়! একেবারে জনবহুল এলাকায় তিনজনকে গুলি করে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ। তিনজনই স্থানীয় তৃণমূল নেতা-কর্মী বলে জানা যাচ্ছে। এমনকি তিনজনের মধ্যে একজন ক্যানিংয়ের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য স্বপন মাঝি বলেই জানা যাচ্ছে। তাঁর সঙ্গেই আরও দুজন তৃণমূল কর্মী বলে জানা যাচ্ছে। এভাবে একের পর এক তৃণমূল নেতা-কর্মী খুনের ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক এলাকাজুড়ে। এমনকি ঘটনার পরেই শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজাও।
ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন সিআইডি আধিকারিকরাও
ইতিমধ্যে এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে জেলা পুলিশ প্রশাসন। গিয়েছেন উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও। এমনকি ঘটনার খবর নিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন সিআইডি আধিকারিকরাও। কীভাবে এই ঘটনা তা একেবারে সরজমিনে খতিয়ে দেখছেন বলে জানা যাচ্ছে। স্থানীয় মানুষ এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছেন বলেই খবর। তবে ব্যাক্তিগত রাগ থেকে খুন নাকি রাজনৈতিক যোগ রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেই খবর। তবে যেভাবে খুন করা হয়েছে তা কার্যত শিউরে ওঠার মতো ঘটনা।
এজন্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দায়ী করেন তিনি।
তবে এই ঘটনার পরেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। ইতিমধ্যে ঘটনায় বিজেপির দিকে অভিযোগের তির। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা করেই বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই কাজ করেছে বলে অভিযোগ। যদিও এহেন অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে বিজেপি। এটা নিজেদের অ্যাভন্তরীন লড়াই বলে এদিন দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, পুলিশ ব্যবস্থা পিসিমনির বাড়িতে টাওয়ার তৈরির জন্যে। গুন্ডাদের হাতে বাংলার আইনশৃঙ্খলা চলে গিয়েছে বলেও এদিন দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা। এজন্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দায়ী করেন তিনি।
গভীর শোকপ্রকাশ
অন্যদিকে ইতিমধ্যে ঘটনায় গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি তাঁর সোশ্যাল মিডিতার মাধ্যমে লিখেছেন, স্বপন মাঝি, ঝন্টু হালদার এবং ভূতনাথ প্রামাণিকের দুর্ভাগ্যজনক প্রয়াণে আমি শোকস্তব্ধ। তৃণমূল তিনজন এক নিষ্ঠ কর্মীকে হারালো বলেও উল্লেখ করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর কথাও জানিয়েছেন তিনি।
আতঙ্কিত খোদ শাসকদলের বিধায়ক
অন্যদিকে ঘটনার পরেই আতঙ্কিত খোদ শাসকদলের বিধায়ক পরেশরাম দাস।ক্যানিংয়ে ৩ নেতার খুনের ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ তাঁর। শুধু তাই নয়, যে কোনও দিন আমিও খুন হয়ে যেতে পারি বলে মন্তব্য বিধায়কের। শুধু তাই নয়, এই ঘটনার পিছনে বিজেপির হাত রয়েছে বলেও দাবি ক্যানিং পশ্চিমের এই বিধায়কের। তবে স্থানীয় মানুষজনের দাবি, এই ঘটনার পিছনে এসইউসিআইয়ের হাত রিয়েছে।
'কাজ করতে গেলে ভুল হয়', অহেতুক নেতিবাচক সমালোচনা থেকে দূরে থাকার বার্তা মমতার