ফ্যাক্টর নয় ২১-এর নির্বাচন, আম্ফান ক্ষত সারিয়ে উঠতে মমতাতেই ভরসা সুন্দরবনের
আম্ফান ক্ষত সারিয়ে এখন অনেকটাই সুস্থ সুন্দরবনবাসী। শুধুমাত্র লক্ষ্য ২১ নয়, উন্নয়নের লক্ষ্যে পাখির চোখ করে রাখা হয়েছে সুন্দরবনকে। সেখানে বিজেপি বা মিম, নাড্ডা, শাহ বা পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী কোনও রাজনৈতিক দল, কোনও মাথাই ফ্যাক্টর নয় সুন্দরবনে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই সুন্দরবনের মানুষের কাছে শেষ কথা। উন্নয়নের নিরিখে রাজ্যের শাসকদল তৃনমূল কংগ্রেসকে বিপুল ভোটে জয়ী করে আবার ক্ষমতায় নিয়ে আসবে বলে আশাবাদী সুন্দরবনের রূপকার শেখ শাহাজান।

পাশাপাশি, তৃণমূলের বঙ্গধনী যাত্রা কর্মসূচিতে তিনি জানান, রাজ্য সরকারের সবুজসাথী, যুবশ্রী, শিশু সাথী, নির্মল বাংলা, কন্যাশ্রীর মতো বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক প্রকল্প রয়েছে, যেগুলোর সুবিধা পাইয়ে দিতে 'দুয়ারে দুয়ারে সরকার' প্রকল্প ব্যাপক সাড়া ফেলেছে সুন্দরবনের মানুষের কাছে। তার মধ্যে সব থেকে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে 'স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প'।
এছাড়াও গত কয়েক মাস আগের আমফান ঘূর্ণি ঝড়ের তান্ডবে ক্ষয় ক্ষতি ও করোনা ক্ষত সারিয়ে আবার চেনা ছন্দে ফিরছে সুন্দরবনবাসী। এখন অনেকটাই সুস্থ সুন্দরবনবাসী। ঘর ছাড়ারাও মাথায় ছাঁদ ফিরে পেয়েছে। এবং ক্ষতিগ্রস্ত নদী বাঁধের ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে বলে এদিন জানান তিনি।
এদিনের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাত, শেখ শাহাজান, শিবু পদ হাজরা সহ স্থানীয় নেতা কর্মীরা। এদিন সরকারি বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কথা প্লাকার্ডে লিখে প্রায় দুই কিলোমিটার পথ যাত্রা করেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই সঙ্গে পা মেলান সুন্দরবনের সাধারণ মানুষও।