অ্যাম্বুলেন্স নেই, চিকিৎসা না পেয়ে ডাক্তারি ছাত্রের মৃত্যু, বিক্ষোভে উত্তাল বরাহনগরের প্রতিবন্ধী হাসপাতাল
অ্যাম্বুলেন্স নেই, চিকিৎসা না পেয়ে ডাক্তারি ছাত্রের মৃত্যু, বিক্ষোভে উত্তাল বরাহনগরের প্রতিবন্ধী হাসপাতাল
হোস্টেলের ঘরের মধ্যেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল ডাক্তারি পড়ুয়া। সঠিক সময়ে তাঁকে উদ্ধার করতে পেরেছিল সহপাঠীরা। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্স মেলেনি। বাইকে করে নিয়ে যাওয়া হয় সাগরদত্ত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ততক্ষণ সবটাই শেষ হয়ে গিয়েছে। আর প্রাণে বাঁচানো যায়নি বরাহনগর প্রতিবন্ধী মেডিকেল কলেজের সেই পড়ুয়াকে। প্রতিবাদে হাসপাতালের গেট আটকে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন পড়ুয়ারা। সকাল থেকে তিন ঘণ্টা পার হয়ে গিয়েছে। অ্যাম্বুলেন্স না থাকার কারণেই সঠিক সময়ে চিকিৎসা না পেয়েই সেই ডাক্তারি পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পড়ুয়াদের।
ডাক্তারি পড়তে বরাহনগরের প্রতিবন্ধী মেডিকেল কলেজে এসেছিলে বিহারের গয়ার বাসিন্দা প্রিয়রঞ্জন। সোমবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে প্রিয়রঞ্জনের কোনও খোঁজ পাচ্ছিলেন না সহপাঠীরা। তাঁর রুমের দরজা বন্ধ ছিল ভেতর থেকে। বারবার ফোন করেও সে ফোন ধরেনি। শেষে রাত ১২টা নাগাদ সহপাঠীরা তাঁর রুমে গিয়ে দরজায় ধাক্কা দেয়। কিন্তু বারবার দরজায় ধাক্কা দিয়েও কোনও সাড়া শব্দ পাচ্ছিলেন না তাঁরা। ঘরের জানলা দিয়ে মোবাইলের ফ্ল্যাশ লাইটে তারা দেখতে পান ঝুলছে প্রিয়রঞ্জনের দেহ। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা দরজা ভেঙে উদ্ধার করে প্রিয়রঞ্জনকে এবং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স চাইতে থাকে।
হাসপাতালে কোনও অ্যাম্বুলেন্সে এবং অক্সিজেনের ব্যবস্থা ছিল না। তারা ছোটাছুটি করেও কিছু করতে পারেনি। শেষে এক সহপাঠীর বাইকে করে প্রিয়রঞ্জনকে কাছের সাগরদত্ত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বনহুগলির হোস্টেল থেকে সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজে নিয়ে যেতে কিছুটা সময় লাগে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে জানান। প্রিয়রঞ্জনের সহপাঠিরা দাবি করেছেন তাঁরা যখন তাঁকে উদ্ধার করেছিলেন তখন প্রাণ ছিল শরীরে। চিকিৎসা দেরীতে পাওয়ায় মারা গিয়েছে সে।
অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা না থাকার কারণেই প্রিয়রঞ্জনকে জরুরি চিকিৎসা দিতে দেরী হয়েছে বলে অভিযোগ পড়ুয়াদের। তারই প্রতিবাদে বরাহনগরে প্রতিবন্ধী মেডিকেল কলেজের গেট আটকে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে পড়ুয়ারা। অ্যাম্বুলেন্স না থাকার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন কলেজের অধ্যক্ষ। তবে কলেজে অক্সিজেন ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিতে এলে পুলিশকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ারা। তাঁদের অভিযোগ দীর্ঘদিন তাঁরা অ্যাম্বুলেন্স রাখার কথা বলেছিলেন কিন্তু কিছুতেই সেটা করেনি কলেজ কর্তৃপক্ষ। গত ৫ ঘণ্টা ধরে কলেজের গেট আটকে বিক্ষোভ জারি রেখেছে ডাক্তারি পড়ুয়ারা।
পুলিশ খুঁজছে হন্যে হয়ে, বিজেপি সাংসদ তেজস্বী প্রকাশের সঙ্গে এক মঞ্চে রাউডি সুনীল