সোনারপুরে বেআইনি ভ্যাকসিন ক্যাম্প নিয়ে তুলকালাম, পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মী 'কাজ' নিয়ে বড় প্রশ্ন
কসবা-সহ কলকাতার একাধিক জায়গায় ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেবের ভুয়ো ভ্যাকসিন শিবির চালানোর রেশ এখনও না কাটলেও, প্রশাসনের নজরদারি যে শিথিল, তা ফের প্রমাণিত হয়ে গেল সোনারপুরে (sonarpur)। তবে বেআইনি ভ্যাকসিন ক্যাম্প (illegal v
কসবা-সহ কলকাতার একাধিক জায়গায় ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেবের ভুয়ো ভ্যাকসিন শিবির চালানোর রেশ এখনও না কাটলেও, প্রশাসনের নজরদারি যে শিথিল, তা ফের প্রমাণিত হয়ে গেল সোনারপুরে (sonarpur)। তবে বেআইনি ভ্যাকসিন ক্যাম্প (illegal vaccine camp) চালানোর অভিযোগ ওঠার পরেই পুলিশ (police) সোনারপুর পুরসভার এক ভ্যাকসিন কোঅর্ডিনেটরকে গ্রেফতার করেছে।
প্রথমে কোনও সন্দেহ না হলেও, ভ্যাকসিন প্রাপকদের কেউ কেউ ঠিক সময়ে ম্যাসেজ কিংবা সার্টিফিকেট না পাওয়া নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়। যার জেরে থানায় অভিযোগ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপরেই পুলিশ খোঁজ খবর শুরু করে জানতে পারে বেআইনিভাবে টিকা দেওয়ার কাজ করে বেরাচ্ছে সোনারপুর পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের ভ্যাকসিন কোঅর্ডিনেটর মিঠুন মণ্ডল। ভ্যাকসিনের বদলে বিভিন্নজনের কাছ থেকে বিভিন্ন রকমের টাকাও সে নিত বলে অভিযোগ করেছেন বাসিন্দারা। তবে বাসিন্দাদের কেউ কেউ জানিয়েছেন, ভ্যাকসিনের ভায়েলের গায়ে থাকা বারকোড পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়েছিলেন, যে মিঠুন অন্তত দেবাঞ্জন দেবের মতো কাজ করছে না।
পুলিশ সূত্রে খবর, মিঠুন মণ্ডল ডায়মন্ডহারবারের একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ফার্মাসিস্ট পদে কোজ করত। সে মশাট সাব সেন্টারের ভ্যাকসিন কো-অর্ডিনেটর হিসেবেও কাজ করেছে। শেষে সোনারপুর পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের ভ্যাকসিন সেন্টানের কোঅর্ডিনেটর হিসেবে কাজ করছিল বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, প্রতিদিন সরকারি টিকাকরণ কেন্দ্রে টিকাকরণের কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পরে মিঠুন মণ্ডল কোভিশিল্ডের ভায়েল সরিয়ে ফেলত। এরপর সে কোথাও ক্যাম্প করে, কিংবা কারও বাড়ি গিয়ে পয়সার বিনিময়ে ভ্যাকসিন দিত।
তবে মিঠুন মণ্ডলের এই কাজে যে একাধিক ব্যক্তি গড়িত, সে সম্পর্কে নিশ্চিত পুলিশ। কেননা এসএমএস পাঠানো থেকে কোউইন অ্যাপ আপডেট, সবেতেই মিঠুনকে কেউ না কেউ সাহায্য করত। কিংবা সরকারি ভ্যাকসিন সেন্টারে কাজের সময় নিজেই সেইসব কাজ সেরে ফেলত।
তবে পুলিশের তরফ থেকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে যাঁরা মিঠুন মণ্ডলের শিবির থেকে ভ্যাকসিন নিয়েছেন, তাঁদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। পাশাপাশি যেসব ভ্যাকসিনগুলো দেওয়া হয়েছে, তা আসল কিনা, তাও পরীক্ষা করে দেখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।