ফের অর্জুন সিং-এর মিছিলে বাধা, ধুন্ধুমার দুর্গানগরে
ফের অর্জুন সিং-এর মিছিলে বাধা, ধুন্ধুমার দুর্গানগরে
ফের বিজেপির কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের মিছিল আটকানো কে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার দুর্গানগরে। এই মুহূর্তে রাস্তায় বসে অবস্থান বিক্ষোভের শামিল স্বয়ং সাংসদ সহ কয়েকশো বিজেপি কর্মী সমর্থক।
জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত শনিবার বিকেলে। রবিবার সকালে নিমতা এলাকায় দিলীপ ঘোষের চা চক্র আয়োজনের কথা ছিল। সেজন্য ছোট মঞ্চ বেঁধেছিল বিজেপি। শনিবার সন্ধ্যায় সেই মঞ্চে ভাঙচুর চালায় তৃণমূলি গুন্ডারা। পালটা রবিবার সকালে দুর্গানগর এলাকায় প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দেন অর্জুন সিং।
এদিন দুর্গানগরে মিছিলে যোগ দিতে হাজির হন কয়েক হাজার বিজেপি কর্মী। তাদের অনেকের মুখে ছিল না মাস্ক। লকডাউনের মধ্যে এত বড় জমায়েত করা যাবে না বলে বিজেপি নেতাদের জানান পুলিশ আধিকারিকরা। কিন্তু বিজেপি নেতারা তা মানতে রাজি ছিলেন না।
পুলিশের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই এগোনোর চেষ্টা করে মিছিল। সঙ্গে সঙ্গে বাধা দেন পুলিশকর্মীরা। দুপক্ষের মধ্যে তুমুল ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এর পর নিমতা থানায় গিয়ে স্মারকলিপি জমা দেন অর্জুন সিং-সহ বিজেপি নেতারা।
থানা থেকে বেরিয়ে অর্জুন সিং বলেন, 'এই রাজ্যে শাসকদলের জন্য এক আইন আর বিরোধীদের জন্য আইন আলাদা। শাসকদল যত খুশি লোক জড়ো করে সভা - সমাবেশ করতে পারে। তখন পুলিশের চোখে পড়ে না। আর বিরোধীরা জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলেই পুলিশের করোনার কথা মনে পড়ে। মানুষ সব দেখছে। ২০২১-এ মমতা ব্যানার্জি টের পাবেন। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিকে এভাবে রোখা যাবে না।'
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে দুর্গানগরেই বিজেপির 'চায়ে পে চর্চা' অনুষ্ঠানে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। এমনকি মারধরও করা হয় বিজেপি সমর্থকদের বলে জানা যায়। যার ফলে সেই কর্মসূচি বাতিল করতে হয়। এরই প্রতিবাদে এ দিন সকালে দুর্গানগর পোস্ট অফিস থেকে নিমতা থানা পর্যন্ত মিছিল করে ডেপুটেশন দেওয়ার কথা ছিল। সেই মিছিল শুরুর আগেই পুলিশ তা আটকে দেয়। যা নিয়ে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা পুলিশের সাথে বচসায় জড়িয়ে পড়ে।
তৃণমূল নেতার সঙ্গে 'পুরনো' সম্পর্ক বিজেপি নেতার! দলের ১৮ আসন আর ৪০ শতাংশ ভোটের ব্যাখ্যা মুকুলের