ঠাকুর নগরের বারুণী মেলায় ভাষণ দেবেন মোদী, ২০২৪-র লক্ষ্যে কি মতুয়াদের নিয়ে নয়া কৌশল বিজেপির
ঠাকুর নগরের বারুণী মেলায় ভাষণ দেবেন মোদী, ২০২৪-র লক্ষ্যে কি মতুয়াদের নিয়ে নয়া কৌশল বিজেপির
বঙ্গ বিজেপিতে বেসুরো গাইতে শুরু করে দিয়েছিলেন মতুয়াদের নেতা শান্তনু ঠাকুর। বিধানসভা ভোটের পর থেকেই দূরত্ব তৈরি হয়েছিল তাঁদের মধ্যে। হঠাৎ করে প্রধানমন্ত্রীর মতুয়াদের মেলায় অংশ নিতে চলেছেন এই খবরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে বঙ্গ বিজেপির অন্দরে। সূত্রের খবর মতুয়াদের ধর্মসভা বারুণী মেলায় বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগামী ২৯ মার্চই শুরু হচ্ছে এই বারুণী মেলা।
মতুয়াদের মেলায় ভাষণ দেবেন মোদী
ফের মতুয়াদের মন পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিজেপি। একুশের ভোটের আগে মতুয়াদের ভোট টানতে একাধিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিনে শাহ-মোদীরা। কিন্তু শেষ হাসি হাসে তৃণমূল কংগ্রেসই। তারপরেই বিজেপির অন্দরে প্রবল মতবিরোধ তৈরি হয়। মতুয়াদের নেতা শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গেও বঙ্গবিজেপির নেতাদের মতবিরোধ তৈরি হয়। প্রকাশ্যেই এই নিেয় টানাপোড়েন শুরু হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করে মতুয়াদের ধর্মসভা বারুণী মেলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বক্তব্য রাখবেন এই খবরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ২৯ মার্চ মতুয়াদের ধর্ম মেলা হয়। সেই দিনই হরিচাঁদ ঠাকুরকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। হরিচাঁদ ঠাকুরের আবির্বাভ তিথিতে প্রতিবছর এই মেলার আয়োজন করা হয়। কাজেই মতুয়া সম্প্রদায়ের কাছে এই বারুণী মেলা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। সেই মেলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অংশ নেওয়ার খবরে স্বাভাবিক ভাবেই শোরগোল পড়ে গিেয়ছে।
কোন রণকৌশলে শান দিচ্ছে বিজেপি
একুশের বিধানসভা ভোটের পর পুরসভা ভোটেও এক প্রকার ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে বিজেপি। তারপরে বিজেপির অন্দরে একের পর এক দ্বন্দ্ব প্রকট হতে শুরু করেছিল। প্রকাশ্যেই শান্তনু ঠাকুর বিদ্রোহী হয়ে উঠেছিলেন। তারপরে হঠাৎ করে মতুয়াদের মেলায় মোদীর উপস্থিতি নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে। সম্প্রতি পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে ভীষণ ভাল ফল করেছে বিজেপি। উত্তর প্রদেশ, গোয়া, উত্তরাখণ্ড, মণিপুরে ফের নিজেদের আধিপত্য কায়েম করেছে গেরুয়া শিবির। বিশেষ করে উত্তর প্রদেশে বিজেপির ফিরে আসান ২০২৪ নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়ে গিয়েেছ। সেকথা মাথায় রেখেই িক মতুয়াদের ভোট নিয়ে ফের তৎপর হয়ে উঠেছে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজেই মতুয়াদের সঙ্গে সেই দূরত্ব ঘোচাতে তৎপর হয়েছেন।
শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে বঙ্গ বিজেপির বিরোধ
মতুয়াদের নেতা শান্তনু ঠাকুর বিজেপি সাংসদ হলেও সম্প্রতি বঙ্গ বিজেপির নেতাদের সঙ্গে তাঁর প্রবল বিরোধ তৈরি হয়েছে। কয়েক মাস আগেই বিজেপির হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ। তারপরে প্রকাশ্যে বঙ্গ বিজেপির একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে তিনি। বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতাদের নিয়ে বৈঠক করা থেকে শুরু করে তাঁদের নিয়ে পিকনিক করা শান্তনু ঠাকুরের একাধিক পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল রাজনৈতিক মহলে। এমনকী তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে একাধিকবার। সেই শান্তনু ঠাকুরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অংশ নেওয়া সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।
কোন স্ট্র্যাটেজিতে হাঁটছে গেরুয়া শিবির
মতুয়াদেপ ধর্মসভায় হঠাৎ করে প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই যোগদান নিয়ে রাজনৈতিক জল্পনা পারদ চড়েছে। অনেকেই মনে করেছেন বঙ্গ বিজেপির ড্যামেজ কন্ট্রোল করতেই ময়দানে নামছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেকারণেই তিনি ধর্মসভায় বক্তব্য রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মোদীকে দিয়েই মতুয়া শিবিরের মানভঞ্জনের উদ্যোগ নিয়েছে বজেপি। এমনই মনে করছে রাজনৈতিক দল। কারণ একুশের ভোটের আগে সিএএ চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি। সেই প্রতিশ্রুতিও পূরণ হয়নি। সেকারণে একটা চাপা ক্ষোভ তৈরি হয়েছে মতুয়াদেপ অন্দরে। মোদীকে দিয়েই সেই বরফ গলানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
দেশের রপ্তানি ৪০০ বিলিয়নে পৌঁছেছে, 'মন কি বাত'-এ দেশবাসীকে অভিনন্দন জানালেন মোদী