জল যন্ত্রণায় নাকাল ইছামতির দুইপারের গ্রামের মানুষ
দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ার ফলে নাব্যতা হারিয়েছে ইছামতি। ফলে ভরা মরশুমে দু'কূল ছাপিয়ে প্লাবিত হয় দুপুরের একাধিক এলাকা। এ বছরেও তাই। নদীর সংস্কার না হওয়ার ফলে প্লাবিত বিস্তীর্ণ এলাকা। নদীর নোনাজল ঢুকে নষ্ট হয়েছে বিঘের পর বিঘে ফসলি জমি। মাথায় হাত চাষিদের।

জানা গিয়েছে, বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর ব্লকের চারঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের চারঘাট, দিয়ারা টিপিঘাট, এই সমস্ত গ্রামগুলো দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে নোনা জলে প্লাবিত হয়ে আসছে। সেইসঙ্গে বিঘের পর বিঘে জমির বিভিন্ন বর্ষাকালীন সবজি - ফসল নষ্ট, প্রতিবছর নদীর নোনা জলের জল চিত্র এমনটাই।
স্থানীয় গ্রামবাসীদের দাবি, ইচ্ছামতী দীর্ঘ দিনের সংস্কার না হওয়া নাব্যতা হারিয়েছে। যার ফলে সেই জল বাঁধ ছাপিয়ে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হয়। প্রায় হাজার বিঘা জমির ফসল নোনা জল ঢুকে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এটা প্রতিবছরই দেখা যায়, বর্ষাকালীন সবজি কাকরোল, পটল ,উচ্ছে ,পেঁপে, কাঁচালঙ্কা বর্ষার রবি শস্য নষ্ট হয়ে জমিতেই পড়ে রয়েছে।
জল যন্ত্রণায় ভুগতে হয় কয়েক হাজার গ্রামবাসীকে। পাশাপাশি, ক্ষতিগ্রস্থ হন গ্রামের কৃষকরা। এক দিকে, আমফান ঝড়ের বিপুল পরিমাণে ফসলের ক্ষতি হয়েছে তারপর কোনরকমে জমিতে চাষযোগ্য করে ফসল ফলানোর চেষ্টা করছে চাষীরা যেটুকু ফসল হয়েছিল সেটাও নদীর নোনা জলে সবটাই নষ্ট হয়ে গেছে এখন চাষিদের মাথায় হাত।
কৃষক শান্তিময় হামলার ও সাদেক মন্ডলের মতো চাষীরা জানান, যমুনার জিরো পয়েন্ট থেকে পদ্মার জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত নদী সংস্কার না হলে এই সমস্যা থেকে যাবে। বর্ষাকালীন রবি শস্য প্রতি বছরইপচন ধরে, ইছামতির নাব্যতা হারিয়েছে আগে সেটা সংস্কার করতে হবে, না হলে এই সমস্যা মিটবে না, এটা দীর্ঘদিনের সমস্যা।
১ সেপ্টেম্বর খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক সরেজমিনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা দেখতে যান, সেখানে গিয়ে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন দূরত্ব ২০০ মিটার বাইপাস খাল করে গ্রাম্য চাষের নোনা জল নিকাশি ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু আশ্বাসেই সার, কোন সুরাহা মিলেনি বলে দাবি গ্রামবাসীদের।