করোনা প্রতিরোধে সীমান্তের গ্রামে পলি মানচিং পদ্ধতিতে চাষ নতুন প্রজাতির লঙ্কার
করোনা প্রতিরোধে সীমান্তের গ্রামে পলি মানচিং পদ্ধতিতে চাষ নতুন প্রজাতির লঙ্কার
উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগর ব্লকের হাকিমপুর বিথারী গ্রাম পঞ্চায়েতের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের স্বরুপদহে অভিনব লঙ্কা চাষ সম্পূর্ণ ভেষজ জৈব পদ্ধতিতে।চাষ করতে বিঘা প্রতি খরচ হচ্ছে ৫,০০০ টাকা। আর সেটা বিক্রি করে লাভ হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা।
করোনা প্রতিরোধে ভিটামিন সি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কার্যকরিতা আছে। তাই সীমান্তে চাষিরা সরকারি প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে জমির উপরে পলিথিন টাঙ্গিয়ে এই লঙ্কা চাষ করছে। এর চাহিদা শুধুমাত্র রাজ্য নয় দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে ভিনদেশে। যেখানে বিশেষ করে করোনা আক্রান্ত সংখ্যা বেশি যেমন ব্রাজিল, ইতালি, রাশিয়া, মেক্সিকো সহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করছে এই পলি ম্যানচিং অভিনব লঙ্কা চাষ।
এই লঙ্কার চাষ প্রথম শুরু হয়েছিল নিউজিল্যান্ড ১৯৬০ ষাটের দশকে। তারপর থেকে এই চাষের গুরুত্ব পায় মনে করছেন চাষীরা। ইতিমধ্যে রাজ্য সরকার এই প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে একদিকে ভিটামিন সি এর চাহিদা যেমন বাড়ছে। অন্যদিকে চাষীদের অল্প খরচে বেশি মুনাফা অর্জন করছেন। ইতিমধ্যে ব্রাজিল পলিমানচিং মাধ্যমে লঙ্কা চাষ করে লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছে।
স্বরূপনগর ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তার সজল সাহা ও ব্লকের প্রযুক্তি সহায়ক উত্তম সাহা বলেন, "সরকারিভাবে বিনামূল্যে এই লঙ্কা চাষের বীজ দেওয়া হচ্ছে চাষীদের। যাতে চাষিরা সম্পূর্ণ দেশীয় জৈব ও ভেষজ পদ্ধতিতে এই চাষ করে। রাজ্য সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেমেছেন।
কৃষক বিভাস ঘোষ বলেন, "সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সরকারিভাবে প্রযুক্তি ও খরচা বহন করে কৃষকদের এই ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে। তাতে লাভবান হচ্ছে কৃষক সমাজ। সবাই যদি এই অভিনব লঙ্কা চাষ করে তাহলে অল্প খরচে বেশি মুনাফা অর্জন করতে পারবে এবং এই চাষ বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়া যাবে"।