মুকুল-ঘনিষ্ঠ বিজেপি বিধায়ক তৃণমূলের জেলা সভাপতি, নৈতিকতার প্রশ্নে যা বললেন বিশ্বজিৎ
মুকুল-ঘনিষ্ঠ বিজেপি বিধায়ক তৃণমূলের জেলা সভাপতি, নৈতিকতার প্রশ্নে যা বললেন বিশ্বজিৎ
মুকুল রায়কে দিয়েই এই তত্ত্বের শুরু হয়েছিল। বিজেপির বিধায়ক নির্বাচিত হওয়ার পর তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েও ফলাও করে বলা হয়েছিল তিনি বিজেপিতেই আছেন। স্পিকার নিজে পিএসি চেয়ারম্যান মামলায় মুকুল রায়কে নিয়ে এমনই রায় দিয়েছিলেন। সেইমতো মুকুল রায়ের পথ ধরে যাঁরা তৃণমূলে এসেছিলেন, তাঁরাও বিজেপি বিধায়ক হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিচ্ছিলেন। এখন আবার সেই অস্ত্রেই ঘায়েল হলেন মুকুল-ঘনিষ্ঠ বিশ্বজিৎ দাস।
বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসকে তৃণমূল জেলা সভাপতি
মুকুল রায়ের মতোই বিশ্বজিৎ দাস বিজেপির টিকিটে বাগদা থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হন। তারপর তিনি যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে। যখন মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে দলত্যাগ আইনে মামলা রুজু হয়েছে, পিএসি চেয়ারম্যান পদ থেকে বরখাস্তের দাবিতে মামলা চলছে, তখন বিশ্বজিৎ দাসরাও নিজেদের বিজেপি বিধায়ক হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন। দলত্যাগ আইনে মামলা এড়াতেই তাঁরা এই দাবি করে আসছিলেন। এখন বিজেপির বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসকে তৃণমূল জেলা সভাপতি মনোনীত করেছেন। তার ফলে শুরু হয়েছে নয়া জল্পনা।
জনপ্রতিনিধিদের কোনও দল হয় না, বললেন বিশ্বজিৎ
ফলস্বরূপ ফের প্রশ্ন উঠে পড়ে, বিশ্বজিৎ দাস বিজেপি নাকি তৃণমূল? তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পদে নিযুক্ত হওয়ার পর একের পর এক প্রশ্নবাণে বিদ্ধ হয়েছেন তিনি। এই অবস্থায় নিজের দলীয় অবস্থান খোলসা করলেন বিশ্বজিৎ। নিজেকে এবার তিনি তৃণমূলের লোক বলে স্পষ্ট করে জানানোর পাশাপাশি বলে দিলেন জনপ্রতিনিধিদের কোনও দল হয় না।
মুকুল রায়ের পথ ধরে বিজেপি ছেড়ে ফিরে যান তৃণমূলে
বিশ্বজিতের কেরিয়ার শুরু হয়েছিল কংগ্রেসের হয়ে। কারপর তিনি তৃণমূলে যোগ দিয়ে ২০১১ ও ২০১৬ সালে বিধায়ক নির্বাচিত হন। কিন্তু ২০১৭-য় মুকুল রায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের পর তিনিও তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করেন। তৃণমূল ছেড়ে মুকুল রায়ের সঙ্গী হন তিনি। তারপর বিজেপির টিকিটে তিনি ২০২১-এর বাগদা থেকে বিধায়ক হন। কিন্তু আবারও তিনি মুকুল রায়ের পথ ধরে বিজেপি ছেড়ে ফিরে যান তৃণমূলে।
বিশ্বজিৎ বা অন্যান্য দলবদলু বিধায়কদের দল নিয়ে জল্পনা
২০২১-এর বিধানসভা ভোটের কিছুদিন পরেই বাগদার বিজেপি বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসে নাম লেখান। কিন্তু বিধায়ক পদ ছাড়েননি। ফলে দলত্যাগ আইন থেকে বাঁচতে তিনি দু-নৌ কায় পা দিয়েই চলতে থাকেন। মুকুল রায় যেমন বিধানসভায় বিজেপি বিধায়ক, কিন্তু বাইরে তৃণমূল নেতা। তেমনই বিশ্বজিৎ বা অন্যান্য দলবদলু বিধায়করাও।
কোন নৈতিকতার বিচারে তৃণমূলের জেলা সভাপতি, প্রশ্ন
এখন বিশ্বজিৎকে তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতির দায়িত্ব দেওয়ার পরই তিনি আবার সেই অবধারিত প্রশ্নের মুখোমুখি। তিনি বিজেপির টিকিটে জিতে বিধায়ক হয়েছেন। তারপর সেই বিধায়ক পদ না ছেড়ে কোন নৈতিকতার বিচারে তৃণমূলের জেলা সভাপতির দায়িত্ব নেবেন, সে প্রশ্ন উঠে পড়ে। ইতিমধ্যে বিশ্বজিৎদের বিরুদ্ধে একাধিকবার দলত্যাগ আইন কার্যকর করা নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী
মমতার মন্ত্রিসভায় কার কার দফতর বদল হচ্ছে, জল্পনায় যেসব হেভিওয়েট মন্ত্রী