বিধায়ককে কাছে পেয়ে দলবদল নিয়ে প্রশ্ন গ্রামবাসীর, কী জবাব দিলেন ‘দিদির দূত’ বিশ্বজিৎ
বিধায়ককে কাছে পেয়ে দলবদল নিয়ে প্রশ্ন গ্রামবাসীর, কী জবাব দিলেন ‘দিদির দূত’ বিশ্বজিৎ
দিদির দূত হয়ে গ্রামে প্রবেশ করতেই এক অদ্ভূত প্রশ্নের মুখে পড়তে হল বাগদার বিধায়ককে। বিধায়ককে পেয়ে তাঁর দলবদল নিয়ে প্রশ্ন করে বসলেন একদল গ্রামবাসী। যা শুনে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়তে হয় বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসকে।
গ্রামবাসী তাঁকে ছুড়ে দিলেন সেই প্রশ্নটাই
বিজেপির টিকিটে জিতে কিছুদিন পরেই দলবদলে তৃণমূলে নাম লিখিয়েছিলেন বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। তিনি তখন স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেনি গ্রামে জনসংযোগে বেরিয়ে তাঁকে এই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে। কিন্তু বুকে পাটা নিয়েই এক গ্রামবাসী তাঁকে ছুড়ে দিলেন সেই প্রশ্নটাই।
গ্রামে গ্রামে জনসংযোগে গিয়ে প্রশ্নের মুখে
সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্ত জন প্রতিনিধি ও নেতা-নেত্রীদের দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে গ্রামে গ্রামে জনসংযোগে যাওয়ার নির্দেশ দেন। সেইমতো দিদির দূত হয়ে তৃণমূলের মন্ত্রী থেকে সাংসদ, বিধায়ক ও পদাধিকারীরা যাচ্ছেন দুয়ারে দুয়ারে।
দিদির দূতের কাছে এ কেমন প্রশ্ন!
কে কী পরিষেবা পেয়েছেন তা জানার পাশাপাশি মানুষের অভবা-অভিযোগ শুনতে তাঁদের গ্রামে আসা। প্রায় প্রতিক্ষেত্রেই নানা দাবি নিয়ে মানুষ যাচ্ছেন দিদির দূতের কাছে। কেউ নিজের প্রয়োজনের কথা বলছেন, কেউ বলছেন এলাকার উন্নয়নের কথা।
প্রশ্ন শুনে প্রথমে হতভম্ব হয়ে যান বিধায়ক
এরই মাঝে বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসকে দেকে গ্রামবাসীর প্রশ্ন, আপনি তো তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন, ভোটে জিতে আবার তৃণমূলে ফিরে এসেছেন। আপনাকে কী আর অভিযোগ করব? এই প্রশ্ন শুনে প্রথমে তিনি খানিকটা হতভম্ব হয়ে যান। কারণ এমন প্রশ্ন শুনতে হবে, তার জন্য তিনি প্রস্তুত ছিলেন না আদৌ।
কী জবাব দিলেন ‘দলবদলু’ বিধায়ক
এরপর নিজেকে সামলে নিয়ে বিশ্বজিৎ বলেন, আপনাকে বিধায়কদের কোনও দল হয় না! এরপর তাঁর কাছে অবশ্য এলাকায় উন্নয়ন না হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষোভ জানাতে থাকেন এলাকার মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দা থেকে ব্যবসায়ীরা অনুন্নয়নের কথায় সরব হন।
এলাকায় উন্নয়ন না হওয়ায় ক্ষোভ
'দিদির দূত' কর্মসূচিতে বিধায়ককে কাছে পেয়ে এলাকায় উন্নয়ন না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন ব্যবসায়ীদের একাংশ। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাগদা বিধানসভার আষাড়ু গ্রাম পঞ্চায়েতের আমডোব এলাকায় দিদির দৃত কর্মসূচিতে গিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তথা বাগদা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস।
ব্যবসায়ীদের ক্ষোভের কথা শুনে
আষাড়ু এলাকায় বাজারে ঢুকতেই ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যরা একাধিক বিষয় নিয়ে ক্ষোভ জানালেন বিধায়কের কাছে। বাজারের টয়লেট, ভাঙা রাস্তা ও ড্রেন তৈরি নিয়ে তাঁদের ক্ষোভ প্রকাশ্যে আসে। নিকাশি নালা না থাকায় বাজারে জলে পরিপূর্ণ হয়ে থাকে বর্ষার সময়। ব্যবসায়ীদের ক্ষোভের কথা শুনে তাদের আশ্বস্ত করেন বিশ্বজিৎ।
দিদির দূত বিশ্বজিৎ দাসের জবাব
তিনি বলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে টয়লেট চালু করা হবে৷ পাশাপাশি বাজার এলাকায় ড্রেন ও রাস্তাও দ্রুত নির্মাণের আশ্বাস দেন তিনি৷ পঞ্চায়েতকে সঙ্গে নিয়ে এই কাজ করা হবে বলে জানান তিনি। এদিন রাস্তার দাবিতে দিদির দূত বিশ্বজিৎ দাসের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা।
বিধায়কের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ
বাগদার বিধায়ক বাজারের পাশ দিয়ে দিদির দৃত কর্মসূচিতে যাবার সময় স্থানীয় মহিলারা বিধায়কের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখান৷ তাঁদের বক্তব্য, যতক্ষণ রাস্তার সমাধান না হবে, ততক্ষণ গাড়ি আটকে রাখা হবে৷ এরপর বিধায়ক গাড়ি থেকে নেমে স্থানীয় মহিলাদের আশ্বস্ত করেন। তারপর মহিলারা গাড়ি ছেড়ে দেন বিধায়কের।
প্রত্যন্ত এলাকাতেও জুনিয়ার চিকিৎসকদের পরিষেবা দিতে যাওয়ার কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী