১৫ হাজার শীতবস্ত্র কোথায় রেখেছেন? ভাষণ থামিয়ে মঞ্চে বসে পড়লেন ক্ষুব্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
সরকারি আধিকারিকদের কাজে ক্ষুব্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঞ্চের উপর শীত বস্ত্র না দেখে একেবারে মেজাজ হারালেন তিনি। শুধু তাই নয়, মাঝ পথেই কর্মসূচি থামিয়ে মঞ্চে বসে পড়লেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদিও এর আগে সভাতে উপস্
সরকারি আধিকারিকদের কাজে ক্ষুব্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঞ্চের উপর শীত বস্ত্র না দেখে একেবারে মেজাজ হারালেন তিনি। শুধু তাই নয়, মাঝ পথেই কর্মসূচি থামিয়ে মঞ্চে বসে পড়লেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদিও এর আগে সভাতে উপস্থিত সাধারণ মানুষকে হাত নেড়ে মুখ্যমন্ত্রীর আহ্বান, ''আপনারা বসে থাকুন। আমিও বসলাম।''
এরপরেই মঞ্চে বসে যান প্রশাসনিক প্রধান। ঘটনায় যে চরম ক্ষুব্ধ হয়েছেন তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোখেমুখে স্পষ্ট ধরা পড়ে।
ক্ষুব্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়!
মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট বার্তা, বিডিওকে দিয়ে এখনই নিয়ে আসতে হবে শীতবস্ত্র। তবে এই ঘটনার পরেই প্রশাসনিক পর্যায়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়ে যায়। কীভাবে দ্রুত নিয়ে আসা যায় সেই বস্ত্র সেদিকেই ঝাঁপিয়ে পড়েন সরকারি আধিকারিকরা। যদিও ১৫ মিনিটের মধ্যে মঞ্চে চলে আসে সেই শীতবস্ত্র। কিন্তু প্রাথমিক ভাবে প্রথমে ২০০ টি এবং পরে আরও ১০০০ টি শীতবস্ত্র নিয়ে আসা হয়। আর তা আরও মানুষের হাতে তুলে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পষ্ট বার্তা, কেউ যেন বাদ না যায়। প্রয়োজনে আরও বস্ত্র পাঠানোর কথাও জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি চুরি না হওয়া নিয়েও বার্তা দেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।
ঠিক কি ঘটেছিল?
বনদেবীর পুজোতে অংশ নিতেই আজ মঙ্গলবার ঝটিকা সফরে উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি একাধিক কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার কথা বলেন তিনি। এছাড়াও বেশ কিছু প্রকল্পের উদ্বোধনও করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এরপরেই মঞ্চে বক্তব্য রাখতে শুরু করেন। কিছুক্ষণ পরেই এলাকার মানুষের জন্যে নিয়ে আসা ১৫ হাজার শীতবস্ত্রের খোঁজ করেন মমতা। কিন্তু সেগুলি মঞ্চে না থাকাতে তীব্র ক্ষুব্ধ সরকারি আধিকারিকদের। প্রকাশ্যেই জেলা শাসককে ভতসনা করেন তিনি। বলেন, তোমা কাছে এটা আশা করিনি। বলেন, ''কত কষ্ট করে এখানে আসব বলে তিন দিন ধরে কম্বল, চাদর এবং সোয়েটার কিনেছি। আর দেখছি নেই! কিছু জিনিস কেনার পর সেটা না দিতে পারলে গা জ্বালা করে বলেও দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এমনকি দ্রুত বিডিওকে তলকরে জিনিসগুলি নিয়ে আসার কথাও বলেন মমতা। আর এরপরেই মঞ্চে রীতিমত ছোটাছুটি বেঁধে যায়।
‘আমি আর মিটিং করব কী!
সরকারি আধিকারিকরা বিষয়টি কোনও ভাবে সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন! সম্ভবত মুখ্যমন্ত্রী মিটিং চলার মধ্যেই নিয়ে আসার কথা জানান। তাতে স্পষ্ট বার্তা, 'আমি আর মিটিং করব কী! আমি তো ওটাই দিতে এসেছিলাম। আর এরপরেই ভাষণ থামিয়ে একেবারে মঞ্চে বসে পড়েন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও দীর্ঘক্ষণ পর ফের বক্তব্য রাখেন তিনি। ওই মঞ্চ থেকেই এদিন পুলিশ প্রশাসনকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন মমতা। বলেন, ওরা দোষ করে যার প্রভাব আমার উপর এসে পড়ে।
তবে ঘটনায় এতটাই ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন মমতা যা বারবার ধরা পড়েছে তাঁর ব্যবহারে। একটা সময়ে শীতবস্ত্র তুলে দেওয়ার সময়ে তা ছুঁড়ে ফেলে দিতেও দেখা যায়।
সাবিত্রী মিত্রের 'দুর্যোধন-দুঃশাসন’ মন্তব্যে উত্তাল বিধানসভা, বিধায়ক বললেন, ভুল ব্যাখ্যা হচ্ছে