টাকিতে নৌকাবিহারে মুখ্যমন্ত্রী, গ্রামবাসীদের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজন, ঢুকে পড়লেন প্রাথমিক স্কুলে
টাকিতে নৌকাবিহারে মুখ্যমন্ত্রী, গ্রামবাসীদের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজন, ঢুকে পড়লেন প্রাথমিক স্কুলে
হিঙ্গলগঞ্জ সফরের দ্বিতীয়দিনে বড় চমক মুখ্যমন্ত্রীর। গ্রামে ঢুকে গ্রামের মহিলাদের সহ্গে করলেন মধ্যাহ্ন ভোজন। টাকির খাঁপুকুর গ্রামে ঢুকে গ্রামের মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তারপরে তাঁদের সঙ্গে মধ্যাহ্ন ভোজন করেন মমতা। টাকিতে ইছামতী নমদীতে নৌকাবিহারের মাঝেই হাসনাবাদের গ্রামে ঢুকে পড়েন তিনি। সেখানে একটি স্কুলে গিয়ে পড়ুয়াদের উপহার দেন তিনি। একেবারে এদিন অন্য মেজাজে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
ইছামতিতে নৌকা বিহার মুখ্যমন্ত্রীর
হিঙ্গলগঞ্জ সফরের দ্বিতীয় দিনে একেবারে অন্য মেজাজে দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কোনও রকম কর্মসূচির পূর্ব পরিকল্পনা তিনি করেন নি। এক কথায় বলতে গেলে গতকালের ঘটনারর পর হিঙ্গলগঞ্জের পুলিশ প্রশাসন বুধবার যাকে বলে তটস্থ ছিলেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের তাঁর কর্মসূচির কোনও তথ্যই দেনই। কেবল খবর ছিল তিনি ইছামতী নদীতে নৌকা বিহার করতে পারেন। ভারত বাংলাদেশকে ভাগ করেছে ইছামতি। সেই ইছামতী নদীতে হঠাৎই অফিসারদের নিয়ে দুপুরে নৌকা বিহারে বেড়িয়ে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
স্কুলে ঢুকে পড়লেন মমতা
ইছামতী নদীতে নৌকা বিহার করতে করতেই হাসনাবাদের একটি ঘাটে নামেন তিনি। সেখান থেকে চলে যান একটি প্রাথমিক স্কুলে। সপ্তাহের তৃতীয় দিনে পুরোদমে চলছিল স্কুল। হঠাৎ মুখ্যমন্ত্রী সেই স্কুলে পড়ুয়াদের কাছে জানতে চান তাঁরা কি হতে চান। পড়ুয়ারা জানান তারা চিকিৎসক হতে চান। তাদের হাতে নতুন জামাকাপড় তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। ক্লাসে ক্লাসে ঘুরে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী। বেশ কিছুক্ষণ সেই স্কুলে কাটিয়ে তিনি আবার বেড়িয়ে পড়েন।
গ্রামে চাটাই বোনা শিখলেন মুখ্যমন্ত্রী
এদিন টাকির খাঁপুকুর গ্রামে একেবারে অন্যমেজাজে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। গ্রামের মেঠোরাস্তা দিয়ে গাড়ি নিয়ে যান তিনি। সেখানে গ্রামে মাটির বাড়ির দাওয়ায় বসে মাদুর বুনছিলেন কয়েকজন মহিলা। গাড়ি থেকে নেমে তাঁদের কাছে যান তিনি। গ্রামবাসীরা প্রথমে তটস্থ হয়ে গিয়েছিলেন। তাঁদের আশ্বস্ত করে মুখ্যমন্ত্রী জিজ্ঞাসা করেন কী বুনছো তোমরা ? গ্রামের মহিলারা বলেন চাটাই বুনছি। মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের কাছে চাটাই বোনা শিখতে চান। তখন গ্রামের একটি বাড়ি থেকে মুখ্যমন্ত্রীর জন্য একটি প্লাস্টিকের চেয়ার নিয়ে আসা হয়। সেই চেয়ারটা একটু ভাঙা ছিল। সেই ভাঙা চেয়ারেই মুখ্যমন্ত্রী বসে বড়েন। তারপরে গ্রামবাসীদের কাছে চাটাই বোনা শেখেন তিনি। গ্রামের মহিলাদের নতুন শাড়িও তুলে দেন তিনি।
গ্রামের মহিলাদের সঙ্গে মধ্যাহ্ন ভোজন মমতার
একুশের বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপি নেতারা মধ্যাহ্নভোজনের রাজনীতি শুরু করেছিলেন। জেলায় জেলায় সভা করতে গিয়ে জেপি নাড্ডা থেকে অমিত শাহ সকলেই গ্রামের মানুষের বাড়িতে মধ্যাহ্ন ভোজন করেছেন। তার খবর অবশ্য আগে থেকে থাকত। তার জন্য রান্নাও হত আলাদা করে। কিন্তু সেই মধ্যহ্ন ভোজনের রাজনীতিকে আজ একেবারে মাৎ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন খঁাপুকুর গ্রামে গ্রামবাসীদের সঙ্গে চাটাই বোনা শিখতে শিখতে তিনি জিজ্ঞাসা করেন তাঁদের খাওয়াদাওয়া হয়েছে কিনা। তাঁরাও জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী খেয়েছেন কিনা। তখন গ্রামবাসীদের কাছে খাবার খেতে চান তিনি। বাড়িতে যা রান্না হয়েছে সেটাই একটি স্টিলের থালায় করে নিয়ে আসেন এক মহিলা। মোটা চালের ভাত, ট্যাংরা মাঝের ঝোল আর ওল সিদ্ধ। তাই দিয়েই গ্রামবাসীদের সঙ্গে খান মুখ্যমন্ত্রী। এরই মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী গ্রামের মহিলাকে বলেন এত মোটা চালের ভাত তিনি খান না। তার জবাবে সেই মহিলা জানা এই চালই তাঁরা রেশনে পান।
শুভেন্দুর প্রতি মমতার 'সৌজন্যে’র অন্ত নেই! বিধানসভায় পুস্তিকা প্রকাশ করে দেখালেন প্রমাণ