মতুয়ারা এবার তৃণমূলের পাশে! বিজেপির প্রলোভনে আর পা নয়, বলছেন মমতাবালা
মতুয়ারা আসন্ন নির্বাচনের কোন দিকে থাকবে, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে এখন থেকেই। ২০১৯ ও ২০২১-এ দেখা গিয়েছে মতুয়াদের সিংহভাগ বিজেপিকেই সমর্থন করেছে। নাগরিকত্বের প্রলোভন দেখিয়ে বিজেপি আদায় করে নিয়েছে মতুয়া ভোট।
মতুয়ারা আসন্ন নির্বাচনের কোন দিকে থাকবে, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে এখন থেকেই। ২০১৯ ও ২০২১-এ দেখা গিয়েছে মতুয়াদের সিংহভাগ বিজেপিকেই সমর্থন করেছে। নাগরিকত্বের প্রলোভন দেখিয়ে বিজেপি আদায় করে নিয়েছে মতুয়া ভোট। কিন্তু প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারেনি বিজেপি। তাই মতুয়ারা এখন দোলাচলে। এই অবস্থায় প্রাক্তন তৃণমূল সংসদ মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি মমতাবালা ঠাকুর দাবি করলেন, মতুয়ারা আর পা দেবেন না বিজেপির প্রলোভনে।
বিজেপি ২০১৯-এর আগে মতুয়াদের নাগরিকত্ত্বের প্রলোভন দেখিয়ে তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্কে থাবা বসিয়েছিল। তার ফলে মতুয়া অধ্যুষিত কেন্দ্রগুলিতে বিজেপি জয় হাসিল করেছিল। কিন্তু ২০১৯-এ জেতার পরও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে না পারার পরও মতুয়ারা ২০২১-এ সমর্থন দিয়েছিল। কিন্তু মতুয়াদের অনেকের মনেই সংয তৈর হয়েছিল তখন। এখন মতুয়ারা মনে করছেন বিজেপি শুধু ভোট আদায় করেছে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে। কোথায় নাগরিকত্ব, তাই মতুয়াদের মন ভেঙে যেতে শুরু করেছে।
এই অবস্থায় তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষ্ণনগরে প্রাক নির্বাচনী সভা থেকে মতুয়াদের উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকার ভুল বোঝাচ্ছে। আপনারা সবাই নাগরিক। আপনারা নাগরিক বলেই আপনাদের ভোটে আমরা নির্বাচিত হয়েছি। আর নাগরিকদেরই নাগরিকত্ব দেওয়ার ভাঁওতা দিয়ে আপনাদের ভুল বোঝোনো হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী হুঙ্কার ছাড়েন, জীবন থাকতে মতুয়াদের নাগরিকত্ব কাড়তে দেব না।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের পর ঠাকুরনগরের মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি মমতাবালা ঠাকুর বলেন, বিজেপির নাগরিকত্বের প্রলোভনে মতুয়া সম্প্রদায় আর পা দেবে না। ওরা মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষদের নিয়ে রাজনীতি করছে। এদিন কাঁকসা থেকে নিঃশর্ত নাগরিকত্বের দাবি তুলে তিনি জানান, তাঁরা কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও শর্তে রাজি নন।
মমতাবালা ঠাকুর বলেন, প্রধানমন্ত্রী রাজ্যে অনেকবার এসেছেন। কিন্তু ঠাকুরবাড়ির জন্য তিনি কিছুই করেননি। কিন্তু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব সময় মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষের পাশে থেকেছেন। ঠাকুরবাড়ির জন্য অনেক কিছুই করেছেন। তাই আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে মতুয়া সম্প্রদায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশেই থাকবে বলে তাঁর বিশ্বাস।
তিনি বলেন, বিজেপি একের পর এক মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভুল বুঝিয়ে চলেছেন। নাগরিকত্ব নিয়ে ২০১৯ থেকে ভুল বোঝাচ্ছেন। এখন পুরনো আইনের বলে গুজরাতে ভোটের আগে নাগরিকত্ব প্রদান করেছেন। সবই করছেন ভোটের স্বার্থে। আইন যদি সংশোধনই করা হল, তাহলে কেন ১৯৫৫ সালের আইন মেনে নাগরিকত্ব প্রদান করা হল ভিনদেশিদের। তাহলে সবই বিজেপির রাজনৈতিক ফায়দা তোলার অপচেষ্টা। তাই বিজেপিকে আর বিশ্বাস নয়।