
'সাফারি-স্যুটের রাজনীতি করেন না', তাপসের পাশে দাঁড়িয়ে সুদীপকে সুখী নেতা কটাক্ষ মদনের
ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল! সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ইস্যুতে তাপস রায়ের পাশে দাঁড়িয়ে ফের একবার বিস্ফোরক মদন মিত্র। তাঁর দাবি, জীবন বাজি রেখে রাজনীতি করে এসেছেন তাপস রায়। এমনকি সাফারি-স্যুটের রাজনীতি করেন না বলেও আক্রমণ তাঁর। সংঘাতের শুরু গত দুর্গাপুজোর সময় থেকে।

বিজেপি নেতা তমোঘ্ন ঘোষের বাড়িতে যান সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তা নিয়েই সমস্যার শুরু। একেবারে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানান তাপস রায়। বলেন, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি নেতার বাড়িয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে শুভেন্দু অধিকারী এবং কল্যাণ চৌবে এসেছিলেন বলেও দাবি করেন বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা। কার্যত ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত করেছিলেন তিনি। এই ইস্যুতে তাপসের পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন মদন মিত্র, সৌগত রায়ের মতো নেতারা।
এই ইস্যুতে ফের একবার মুখ খুললেন কামারহাটির বিধায়ক। তাঁর দাবি, তাপস রায় বলেই রাজনীতি করে এসেছেন। অন্য কেউ হলে নাকি ইউক্রেনে আশ্রয় নিতেন বলে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য মদন মিত্রের। শুধু তাই নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশ্বস্ত সৈনিক হিসাবে নিজেকে তো বটেই, সঙ্গে তাপস রায়কেও নিয়েছেন মদন। আর তা নিয়ে তাঁর মন্তব্য, একটি কুকুর যুধিষ্ঠিরের সঙ্গে গিয়েছিল।
তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যদি কেউ দুজন গিয়েছে দেখেন তাহলে একজন মদন মিত্র এবং অপর জন তাপস রায়। বিধায়কের মতে, স্যুট-সাফারি পরে, রঙ মেখে রাজনীতি করতে পছন্দ করেন না। রাস্তায় নেমে রাজনীতি করেন বলে দাবি তাঁর। এমনকি তাপস রায়কে যেখানেই ডাকা হবে সেখানে পাওয়া যাবে বলেও মন্তব্য তৃণমূল নেতার।
তবে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ইস্যুতে সরাসরি মন্তব্য করতে চাননি তিনি। তবে আকার ইঙ্গিতে একেবারে স্পষ্ট বার্তা লোকসভার সাংসদকে দিচ্ছেন তা বুঝিয়ে দিয়েছেন রংবাজ মদন। এই প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, সুদীপ দা সিনিয়র নেতা। কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট হিসাবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন বলে জানান মদন।
আর তা বলতে গিয়ে আরও বলেন, ক্ষমতায় সেই সময় সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়। তবে সুখের যুব কংগ্রেসের নেতা সুদীপ এবং যুব কংগ্রেস সভাপতি দুঃখের সময় ছিলেন বলে কটাক্ষ মদন মিত্রের। কার্যত সুখী নেতা হিসাবেও কটাক্ষ এই তৃণমূল নেতার।
অন্যদিকে আজ সৌগত রায়ের মুখেও তাপস রায়ের প্রশংসা শোনা গিয়েছে। এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তৃণমূল নেতা বলেন, তাপস ভালো সংগঠক। ভালো কাজ করছেন। ওনাকে ঠাকুর আরও শক্তি দিক বলেও মন্তব্য শোনা গিয়েছে দমদমের সাংসদের মুখে।