'যদি কেউ ভুল করে পাশে দল থাকবে না', কেষ্টর গ্রেফতারিতে ব্যারাকপুরের বাহুবলী নেতার মন্তব্যে কিসের ইঙ্গিত
'যদি কেউ ভুল করে পাশে দল থাকবে না', কেষ্টর গ্রেফতারিতে ব্যারাকপুরের বাহুবলী নেতার মন্তব্যে কিসের ইঙ্গিত
'যদি কেউ ভুল করে থাকে, আইন ব্যবস্থা নেবে। তাদের পাশে দল থাকবে না'। বীরভূমের দোর্দণ্ড প্রতাপ টিএমসি জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির পর টিএমসির আরেক বাহুবলী েনতা অর্জুন সিংয়ের প্রতিক্রিয়া। টিএমসি নেতার এই প্রতিক্রিয়া যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ। দল থেকে অনুব্রতর দায় ঝেড়ে ফেলে দিয়েছে তার ইঙ্গিত মিলেছিল এসএসকেএম হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্টেই। কাজেই অনুব্রতকে নিয়ে যে আর টিএমসি মাথা ঘামাবে না সেটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
পার্থর পর অনুব্রত
একে একে শাসক দলের দুই বড় েনতা গ্রেফতার। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির জোরাল কারণ ছিল তাঁর ঘনিষ্ঠের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল ২১ কোটি টাকা। পার্থর পর টার্গেটে ছিলেন অনুব্রত। একেবারে কেষ্টর ডেরা থেকে গ্রেফতার করা হল অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ করেছে সিবিআই। মূলত গরুপাচার কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগেই গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। অনুব্রতর গ্রেফতারির ঘটনায় রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
কী বলছেন টিএমসির আরেক বাহুবলী নেতা
দলের অন্দরেই অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া শোনা গেল। টিএমসির আরেক বাহুবলী নেতা ব্যারাকপুরের অর্জুন সিং বলেছেন, 'যদি কেউ ভুল করে থাকে, আইন ব্যবস্থা নেবে। তাদের পাশে দল থাকবে না'। অর্জুন সিংয়ের এই প্রতিক্রিয়া অনেকটা স্পষ্ট করে দিয়েছে দলের বার্তা। কারণ অনুব্রতর দায় যে দল নিতে রাজি নয় সেটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল এসএসকেএমের স্বাস্থ্যপরীক্ষাতেই। যে অনুব্রত মণ্ডলকে গতবার হাসপাতালে ভর্তি করে গার্ড দেয়া হয়েছিল সিবিআইয়ের হাত থেকে। সেই অনুব্রতকেই পরের বার একেবারে সুস্থ হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন নেই বলে জানিয়ে দিলেন এসএসকেএমের চিকিৎসকরা।
দুঃখের বলছেন সৌগত
টিএমসির দুই প্রবীন নেতা সৌগত রায় আর শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় আবার অনুব্রতর গ্রেফতারি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। সৌগত রায় বলেছেন, দক্ষ সংগঠক ছিলেন অনুব্রত। তাঁর গ্রেফতারি দুঃখের। এমনকী কী কারণে অনুব্রতকে সিবিআই গ্রেফতার করল তা স্পষ্ট নয়। এমনই মন্তব্য করেছেন সৌগত রায়। আবার শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় দাবি করেছেন,দোষ করলে সাজা পেতে হবে। কেউ যদি নিজেকে নির্দোষ বলে মনে করেন তাহলে তাঁকে আইনের সাহায্য নিয়ে নির্দোষ প্রমাণ করে আসতে হবে।
কীভাবে গ্রেফতার অনুব্রত
একেবারে দেড় ঘণ্টার দুঃসাহসিক অভিযান সিবিআইয়ের। ৩৫ জন সিবিআই অফিসার, ১০০ কেন্দ্রীয় বাহিনী িনয়ে অনুব্রতর বাড়িতে হানাদেয় সিবিআই অফিসার। কেষ্ট তখন তিন তলার ঠাকুর ঘরে দরজায় খিল দিয়ে বসেছিলেন কেষ্ট। এক প্রকার জোর করেই তাঁকে সেখান থেকে বের করে আনা হয়। গ্রেফতারির পরেই অসুস্থ বলে দাবি করতে শুরু করেন কেষ্ট। সিবিআইও সব প্রস্তুতি সেরে রেখেছিল। শেেষ অক্সিজেন কনসেনট্রেটর গাড়িতে রেখেই অনুব্রত মণ্ডলকে কার্যত ঘাঢ় ধরে তোলা হয় গাড়িতে।
পুলিশকে বোমা মারতে বলেও রেহাই! তবে এখন কেন গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডল