পঞ্চায়েত ভোটের আগে চলছিল বোমা বাঁধার কাজ! বাসন্তীতে বিস্ফোরণের আহত চার
এই বোমা বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থলেই একজন নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেন গ্রামবাসীরা। পুলিশ আসার আগেই সেই দেহ সরিয়ে ফেলা হয় বলে অভিযোগ।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে তীব্র বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী। অভিযোগ, ভোটের আগ্ সন্ত্রাসের আবহ তৈরি করতে চলছিল বোমা বাধার কাজ। আর তা করতে গিয়েই ঘটে বিস্ফোরণ, যার জেরে রক্তাক্ত হল বাসন্তী। বাসন্তীর এই বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত হয়েছেন চার জন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আহত চারজনের মধ্যে তিনজনকে কলকাতার বাঙ্গুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে চিকিৎসার জন্য। একজনকে নিয়ে এখনও ধন্দ রয়ে গিয়েছে। শনিবার দুপুরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী থানার আমঝাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তীতকুমার এলাকায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
এই বোমা বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থলেই একজন নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেন গ্রামবাসীরা। পুলিশ আসার আগেই সেই দেহ সরিয়ে ফেলা হয় বলে অভিযোগ। অন্যদেরকে রক্তাক্ত ও ঝলসানো অবস্থায় এলাকা থেকে উদ্ধরা করা হয়। তারপর তাদের চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতায়।
এই বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় উড়ে যায় বাড়িটি। ওই বাড়িতে বা ওই বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় বোমা বাঁধছিল এলাকার কয়েকজন দুষ্কৃতী। ফলে বোমা বিস্ফোরণে বাড়িটিই ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবম তার চাল উড়ে যায়। জোরালো বিস্ফোরণে পর দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে মাটির বাড়িটি।
গ্রামবাসীরা নিজেরাই এসে বাড়িটির আগুন নিভিয়ে দেয়। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় তখনও ছড়িয়ে ছিটিয়ে বোমা তৈরি সরঞ্জাম। পুলিশ গিয়ে অবশ্য সেগুলো উদ্ধার করে। বারুদের ক্যাপ, সুতলি দড়ি এবং বেশ কিছু স্টোনচিপ ও জালের কাটি উদ্ধার করা হয়েছে। ওই এলাকাটি ঘিরে রাখা হয়েছে পুলিশের তরফ থেকে। এলাকায় বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট।
বাসন্তীর এই ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণে আহতরা হলেন খালেক মোল্লা, ভুট্টো শেখ ও আকিবুল্লা মোল্লা। কিন্তু এখনো একজনের নাম জানা যায়নি। দিনের বেলাতে বোমা বাঁধতে গিয়ে তা ফেটে যায়। কী উদ্দেশে বোমা বাধার কাজ হচ্ছিল। এর পিছনে কোনও রাজনৈতিক দলের হাত রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিরোধীদের অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে।
তবে বাসন্তীর বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল বলেন, আইন আইনের পথে চলবে। যারা বোমা বাধাছিল, তারা যে দলেরই সমর্থক হোক না কেন, পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে। এ বিষয়ে ক্যানিংয়ের এসডিপিও দিবাকর দাস বলেন, মনিরুল খান নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে বোমা বাধার কাজ চলছিল। আর সেখানেই বিস্ফোরণ হয়। ঘটনায় চারজন আহত হয়েছে। আহতদের চিকিৎসা চলছে কলকাতার বাঙ্গুর হাসপাতালে। এই ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার হয়নি।