লটারি জিতে রাতারাতি কোটিপতি দক্ষিণ ২৪ পরগনার মৎস্যজীবী
লটারি জিতে রাতারাতি কোটিপতি দক্ষিণ ২৪ পরগনার মৎস্যজীবী
কপালের নাম গোপাল প্রচলিত এই কথা সত্যি করে এবার সত্যি সত্যিই লটারি জিতে রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গেলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোপাল।
পেশায় মৎস্যজীবী। সুন্দরবনের প্রত্যন্ত অঞ্চলে নদীর মাছ কাঁকড়া ধরেই জীবিকা নির্বাহ করেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী থানার চড়াবিদ্যা অঞ্চলের ৭ নম্বর কুমড়োখালির বাসিন্দা মৎস্যজীবী সুভাষ দোলুই। গরীব মৎস্যজীবীর পরিবারের জন্মে ভাঙা ঘরে চাঁদের আলো দেখতো সে। কোনও মতে সংসার চলে নদীতে নদীতে কাঁকড়া ধরে বাজারে কাঁকড়া ধরে। সেই টাকা থেকে কিছু টাকা সংরক্ষণ করে একটু লটারি টিকিট কাটার নেশা ছিল মৎস্যজীবীর।
আর সেই লটারির টিকিটে আজ সে কোটিপতি। এমনই ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী থানার চড়াবিদ্যা অঞ্চলের ৭ নম্বর কুমড়োখালি গ্রামে। তাঁর স্ত্রী চার সন্তান এবং বৃদ্ধ বাবা ও বৃদ্ধা মাকে নিয়ে তার সংসার। প্রতিদিন সুন্দরবনের নদীতে নদীতে কাঁকড়া ধরে। সেই কাঁকড়া বাজারে বিক্রি করে যে টাকাটা সে পায় তাই দিয়ে তার কোনও মতে সংসার চলে দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করে। আর এই আয় থেকে মৎস্যজীবী কিছু টাকা সংরক্ষণ করে রাখতো। সেই সংরক্ষণের টাকা থেকে মৎস্যজীবী লটারি কাটতো প্রায় দিন। ঠিক ১ ডিসেম্বর সরবেড়িয়া বাজারে ভীম সরদারের লটারির দোকান থেকে ডি আর সিকিম কোম্পানির একটি লটারি কাটে মৎস্যজীবী সুভাষ দোলুই।
জানা গিয়েছে, সেই লটারির টিকিট নম্বর ছিল ৫০ বি ৪০১৩৩। যার প্রথম পুরস্কার ছিল এক কোটি টাকা। সেই লটারিতে প্রথম পুরস্কার হিসেবে নম্বর মিলে যায় মৎস্যজীবী সুভাষ দোলুই টিকিট নম্বর। লটারি কোম্পানি এক কোটি টাকা তুলে দেন মৎস্যজীবী সুভাষ দোলুইকে। আর এই টাকা পেয়ে রাতারাতি ভাগ্য খুলে গেল মৎস্যজীবী সুভাষ দোলুইয়ের। আর এই টাকা পেয়ে সে এখন কোটিপতি। ফলে খুশি মৎস্যজীবীর পরিবারের সদস্যরা।
মৎস্যজীবী সুভাষ দোলুই ওরফে গোপাল জানান, নদীতে নদীতে,খালে বিলে কাঁকড়া ধরে বাজারে বিক্রি যে টাকা পায় তা দিয়ে কোন মতে সংসার চলে। এই টাকা দিয়ে আমি চার মেয়েকে লেখা পড়া শিখিয়ে মানুষের মতন মানুষ করে তুলবো। আর ভাঙচুরা ঘরটি মেরামতি করবো। মানুষের পাশে দাঁড়াবো।