করোনাসুরের দাপটে ধান্যকুড়িয়ার জমিদার বাড়ির পুজো বন্ধ
উত্তর
২৪
পরগনার
ধান্যকুড়িয়ার
দুই
ঐতিহ্যবাহী
জমিদার
বাড়িতে।
বন্ধ
রাখা
হল
এবছরের
দুর্গা
পুজো।
একটা
সময়
নিষ্ঠা
ও
রীতিনীতি
উপচার
মেনে
জমিদার
বাড়ি
দালানের
শোভা
পেত
এক
কাঁঠামোর
দেবী
দুর্গা
প্রতিমা।
ধান্যকুড়িয়া
গাইন
ও
সাঊ
বাড়ির
পুজো
২০০
বছরের
ওপরে।
আগে যা হত
তাঁদের বাড়ির পুজোর ইতিহাসে এই প্রথম বন্ধ রাখতে হল এই ঐতিহ্যবাহী পুজো। এই সিদ্ধান্ত জমিদার বাড়ির কাছে যেমন বেদনাদায়ক, তেমনি ধান্যকুড়িয়া তথা গোটা বসিরহাটবাসীর কাছেও খুবই দুঃখজনক।
জমত ভিড়
প্রত্যেক বছরই রাজ্য ছাড়িয়ে ভিন রাজ্য থেকে বহু দর্শনার্থীরা এই পুজো দেখতে আসে। এমনকী টলিউড পাড়ার কলাকুশলীরা এই পুজোতে ভিড় জমাতেন। আর তারকাদের দেখতে এই দুই জমিদার বাড়িতে আরও ভিড় জমত।
এবার বন্ধ সব
আলোয় আলোকিত থাকত জমিদার বাড়ির দালান থেকে শুরু করে বিস্তীর্ণ এলাকা, তার সঙ্গে সাউন্ড বক্সে চলত বিসমিল্লাহ খানের সানাই। সব মিলিয়ে পুজোর দিনগুলিতে এক নতুন পরিবেশ সৃষ্টি হত গোটা ধান্যকুড়িয়া গ্রামে। এবার পুজোর বোধন থেকে বিসর্জন পর্যন্ত সবটাই বিষন্নতা সুর শোনা যাবে।
বিষন্নতা
গাইন পরিবারের সদস্য মনজিৎ গাইন ও সাঊ পরিবারের সদস্য জ্যোতিপ্রকাশ সাউরা জানান, পুরনো স্মৃতি মনে পড়ে যাচ্ছে। গত কয়েক বছর আগেও ব্রাজিল ও ইন্দোনেশিয়া থেকে পর্যটকরা এসেছিল এই পুজোতে। পাশাপাশি ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর শেষ ছবি সত্যান্বেষী এই শুট হয়েছিল পুজোর দালানে।চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে আবীর চট্টোপাধ্যায়, রজতাভ দত্ত, অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের মায়া কুমারীর ছবির বহু দৃশ্য এখানে শুটিং হয়েছিল। করোনা আবহাওয়া জন্য কিন্তু সেই ছবি এখনও প্রকাশ পায়নি। পুজো শুরু হওয়ার মুহূর্তে গান ফায়ারে পুজো শুরু হত। বিশেষ করে সন্ধিপুজোয় প্রচুর মানুষের ঢল নামত। এই দুই প্রাচীন জমিদার এবার সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি মানুষের সুস্থ কামনা করে এবার পুজো বন্ধ রাখতে হল।