বিদ্যাধরী বাঁধ ভেঙে বিপত্তি! প্লাবিত বহু গ্রাম, আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা
বিদ্যাধরী বাঁধ ভেঙে বিপত্তি! প্লাবিত বহু গ্রাম, আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা
দীর্ঘদিনের জীর্ণ বাঁধ, একাধিকবার আবেদন করেও মেলেনি সাড়া। ফলে দীর্ঘদিন ধরেই সংস্কারের অভাবে বিদ্যাধরী নদীর তীরে উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁ ব্লকের একাধিক বাঁধ পড়ে রয়েছে। বুধবার কোটালের জলে প্রায় ৫০ ফুট বিদ্যাধরী নদীর বাঁধ আচমকাই ভেঙে বিপত্তি দেখা দিল গ্রামে। প্লাবনের জল হু হু করে ঢোকায় আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা।
গ্রামবাসীদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই মেরামতির কাজ হয়নি। তাই জীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে নদী তীরবর্তী একাধিক বাঁধ। আমফানের সময়েও ব্যাপক চাপ পড়েছে এই বাঁধগুলোর উপর, কিছু কিছু বাঁধ ভেঙে গিয়েছে, কিছুর অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক। একই জায়গায় আমফানের সময় বিদ্যাধরী নদীর বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ভেঙে গিয়েছিল। তার ওপরে বেশ কিছুদিন ধরে ব্লক প্রশাসনের ও সেচদফতর বাঁধ মেরামতি করে গেছেন। তারপরে আবার নতুন করে এই বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় নতুন করে আশঙ্কার কালো মেঘ দেখছে গ্রামের মানুষ।
আতঙ্কিত বেশ কয়েকটি গ্রামের কয়েক'শ গ্রামবাসী। এদিন গ্রামকে বাঁচাতে নিজেরাই বাঁধ মেরামতের কাজে হাত লাগিয়েছেন। কারণ বর্ষাকাল শুরু হয়েছে একদিকে আকাশের বৃষ্টি অন্যদিকে নদীর বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় চিন্তায় কপালে ভাঁজ পড়েছে গ্রামবাসীদের। এখনও আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসীদের চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট। তারপরে এই নদীর বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ চাষের জমিতে নোনা জল ঢুকে ফসলের ক্ষতি নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করছে।
অন্যদিকে মেছোঘেড়িতে নোনা জল ঢুকে ব্যাপক মাছ চাষের ক্ষতি হচ্ছে। সব মিলিয়ে আমফানে দুর্যোগ কাটিয়ে যখন একটু একটু স্বাভাবিকের পথে এগোচ্ছে সুন্দরবনের মিনাখাঁ ব্লকের মানুষ তখন আবার নতুন করে বাঁধ ভাঙায় রাতের ঘুম কেড়েছে বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষের। তাই দ্রুত বাঁধ মেরামতির আবেদন জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা।
{quiz_300}