উদ্বোধনের কয়েকদিনের মধ্যেই যান্ত্রিক গোলযোগ! বন্ধ করা হল দক্ষিণেশ্বর-নোয়াপাড়া মেট্রো চলাচল
ভার্চুয়াল মাধ্যমে সেই সম্প্রসারিত অংশের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু উদ্বোধনের ১০ দিনের মাথাতেই বিপত্তি। যার ফলে রাতারাতি বন্ধ রাখা হল দক্ষিণেশ্বর-নোয়াপাড়া মেট্রোর দুদিকের চলাচলই। ফলে সমস্যায় পড়তে হয়
দীর্ঘদিনের স্বপ্ন! অবশেষে বাস্তবের মুখ দেখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে। নোয়াপাড়া থেকে মেট্রো এগোয় দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত। ভার্চুয়াল মাধ্যমে সেই সম্প্রসারিত অংশের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু উদ্বোধনের ১০ দিনের মাথাতেই বিপত্তি। যার ফলে রাতারাতি বন্ধ রাখা হল দক্ষিণেশ্বর-নোয়াপাড়া মেট্রোর দুদিকের চলাচলই। ফলে সমস্যায় পড়তে হয় দক্ষিণেশ্ব, বরাহনগরের যাত্রীদের।
এই রুটের মেট্রো চলাচল বন্ধ
হঠাৎ করেই একটি যান্ত্রিক গোলযোগ পাওয়া যায় ওই লাইনে। দুপুর পৌনে একটা নাগাদ নোয়াপাড়ার কাছে সিগন্যালিং পয়েন্টে যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দেয়। এর পরই ওই রুটে মেট্রো চলাচল বন্ধ রাখা হয়। যদিও যুদ্ধকালীন তৎপরতায় যান্ত্রিক সমস্যা মেটানোর কাজ চলছে। মনে করা হচ্ছে খুব দ্রুত এই সমস্যার সমধান করা হবে। তবে হয়তো পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে ২৪ ঘন্টা লেগে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে মেট্রোর উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। তাঁরা জানিয়েছেন, কাজ শেষ হলেই ফের দক্ষিণেশ্বর-নোয়াপাড়া রুটে মেট্রো চলবে। আপাতত দমদম থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত মেট্রো চলাচল করছে।
ভোটের আগে তাড়াহুড়োতেই কি বিপত্তি!
ভোটের আগে রীতিমত তাড়াহুড়ো করেই এই মেট্রো পরিষেবার সূচনা হয়েছিল। আর সেই কারনে উদ্বোধনের কয়েকদিনের মাথাতেই এভাবে থমকে গেল মেট্রো পরিষেবা। যদিও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি রেল আধকারিকরা। তাঁরা জানিয়েছেন, সমস্যা হয়েছে। দ্রুত সমাধানের চেষ্টা চলছে বলে দাবি আধিকারিকদের।
মমতাকে ছাড়াই মেট্রো প্রকল্পের সূচনা
২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই দক্ষিণেশ্বর-নোয়াপাড়া মেট্রো প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। জমি জট ছাড়াও একাধিক সমস্যায় জর্জরিত ছিল এই প্রকল্প। বিভিন্ন সময়ে থমকে যায় এর কাজ। তবে বছরখানেক আগে থেকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় এই মেট্রো প্রকল্পের কাজ চালু হয়। গত মাসখানেক আগে এর কাজ শেষ হয়। তবে করোনার কারনে বেশ কয়েকদিন আটকে যায় কাজ। অবশেষে জটিলতা কাটিয়ে শুরু হয় মেট্রো পরিষেবা। তবে মমতাকেই ছাড়াই। মোদীর পাশেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যে চেয়ার রাখা ছিল। কিন্তু তা খালি! ফলে রাজ্যপাল এবং প্রধানমন্ত্রী সবুজ পতাকা নেড়ে দক্ষিণেশ্বর মেট্রোর সূচনা করেন।
কবি সুভাষ থেকে ২৫ টাকাতেই পৌঁছনো যাবে দক্ষিণেশ্বরে
ভাড়ার কোনও বদল আনা হয়নি। সর্বনিম্ন ভাড়া পাঁচ টাকা রাখা হয়েছে। আর সর্বোচ্চ ২৫ টাকা। অর্থাৎ মাত্র ২৫ টাকাতেই পৌঁছানো যাবে কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত। তবে সূত্রের খবর, এখনই সব ট্রেন দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত চলবে না। সকালে ছয় মিনিট অন্তর চললেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই মেট্রো পাওয়া যাবে ১৫ মিনিট অন্তর। দক্ষিণেশ্বর থেকে মেট্রোয় চড়তে গেলেও স্মার্ট কার্ড বাধ্যতামূলক রয়েছে।। টোকেন চালু হয়নি। দিনে মোট ৭৯ জোড়া ট্রেন এই রুটে চলাচল করছে। এদিকে দক্ষিণেশ্বর থেকে দমদম চলছে আরও তিন জোড়া মেট্রো। প্রথম ট্রেন দক্ষিণেশ্বর থেকে ছাড়ছে সকাল সাতটায় এবং শেষ ট্রেন রাত সাড়ে ন'টায়।