বিজেপির ওপর হামলার ঘটনায় এখনও উত্তেজনা অশোকনগরে
বিজেপির ওপর হামলার ঘটনায় এখনও উত্তেজনা অশোকনগরে
বিজেপির পার্টি অফিস ও পাঁচ নেতার বাড়িতে হামলার ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে।
জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত শনিবার। অশোকনগর স্টেশন লাগোয়া বিজেপির একটি দলীয় কার্যালয়ের সামনে কয়েকটি পতাকা পোড়ানো অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন বিজেপি কর্মীরা। খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারেন, দলীয় পতাকা পোড়ানোর ঘটনায় বিজেপির বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর দুই যুবক রয়েছে।
অভিযোগ, তৃণমূলের সঙ্গে যাদের ইদানিং যোগসাজশ রয়েছে। দলীয় পতাকা পোড়ানোর ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার রাতে অশোকনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে যান অশোকনগর আশ্রাফাবাদ এলাকার বিজেপি নেতাকর্মীরা। অভিযোগ, সেই সুযোগে রাত সাড়ে ন'টা থেকে দশটা নাগাদ কুড়ি পঁচিশ জনের একটি দল অশোকনগর আশ্রাফাবাদ এলাকার বিজেপির ২৫৪ নম্বর বুথের সভাপতি প্রদীপ সরকার, ২৫৬ নম্বর বুথের সভাপতি রমেন বিশ্বাসের বাড়িতে হামলা করে। মারধর করা হয় পরিবারের সদস্যদের। ২৫৫ নম্বর বুথের বুথ সভাপতি গৌতম আইচের বাড়ি লাগোয়া বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালায় ওই দুষ্কৃতী দল। ভাঙচুর করে ছিঁড়ে ফেলা হয় বিজেপির রাজ্য সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কাট আউট ও দলীয় কার্যালয়ের বেড়া। এ ছাড়াও দুই শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা সোমনাথ প্রামানিক ও গৌতম ঘোষালের বাড়িতেও হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ।
সেই ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। এদিনও দুই পক্ষের সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। সংঘর্ষের ঘটনায় মোট ৬ জন আহত হয়েছেন। কয়েকজনের চিকিত্সা চলছে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে।
কিন্তু হামলা করল কারা? এই প্রশ্নে আক্রান্তদের মধ্যে থেকেই দুরকম কথা উঠে এসেছে। একাংশের নেতা বলছেন, তৃণমূলের লোকজন হামলা করেছে। কয়েকজন আক্রান্ত আবার বলছেন, তাঁরা আদি বিজেপি বলে তৃণমূল থেকে নতুন আসা লোকজন এই হামলা চালিয়েছে। যদিও এই ঘটনায় তৃণমূলের অশোকনগরের যুব নেতা প্রদীপ সিং অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, বিজেপির দলীয় কোন্দলের ফলে এই ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারীরা দুষ্কৃতী। তারা এতদিন এলাকাছাড়া ছিল। এখন বিজেপিতে এসে তারাই ঝামেলা করছে।
হাওড়া পুর এলাকায় ভোটের দাবিতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের কলকাতা হাইকোর্টে